বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পরিচ্ছন্নতায় অবহেলা পেলে কঠোর ব্যবস্থা: মেয়র আতিকুল

  •    
  • ৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ২০:৪৩

ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শকদের প্রতিটি এলাকা পরিদর্শন করে কোন কোন ড্রেনে ময়লা বেশি তার তালিকা করতে হবে। কোন কোন ড্রেনে ও নালায় কচুরিপানা ও অন্যান্য ময়লা বেশি সেগুলোও চিহ্নিত করে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।

পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও মশক নিধনে কর্মীদের অবহেলা পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

রোববার গুলশান-২ এ নগর ভবনের হল রুমে শুষ্ক মৌসুমে মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়ে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় মেয়র এ হুঁশিয়ারি দেন।

মেয়র বলেন, ‘পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও মশক নিধনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও তৎপর হতে হবে। বিশেষ করে পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শকদের প্রতিটি এলাকা পরিদর্শন করে কোন কোন ড্রেনে ময়লা বেশি তার তালিকা তৈরি করতে হবে। কোন কোন ড্রেনে ও নালায় কচুরিপানা ও অন্যান্য ময়লা বেশি সেগুলোও চিহ্নিত করে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। মাঠে কাজের ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও মশক নিধনে কর্মীদের অবহেলা পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দশটি অঞ্চলে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে কাউন্সিলরদের অন্তর্ভুক্ত করে সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি সমন্বিত মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা কমিটি গঠন করে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। পাঁচটি ওয়ার্ডে প্রাথমিকভাবে ক্র‍্যাশ প্রোগ্রাম শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে পুরো এলাকায় এই সমন্বিত কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’

কর্মীদের প্রতি ডিএনসিসি মেয়র নির্দেশনা দেন- ‘বর্জ্য বিভাগ প্রতিটি এলাকার ড্রেন, খাল, নালা ও জলাশয় নিয়মিত পরিষ্কার করবে। তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। কোনো খাল, নালা ও জলাশয়ে কচুরিপানা জমতে দেয়া যাবে না। প্রতিদিন পরিষ্কার করে ছবি তুলে সেগুলোর প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।’

এ ছাড়া ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন ডোবা ও জলাশয়ের মালিকদের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করতে চিঠি দেয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

সমন্বয় সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় মশার বর্তমান পরিস্থিতি এবং মশা নিধনে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ সময় ডিএনসিসি মেয়র বুধবার থেকে ১৫ দিনের জন্য পাঁচটি ওয়ার্ডে (ওয়ার্ড নম্বর- ১, ১৭, ৪৯, ৫০ ও ৫২) মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে সব বিভাগের সমন্বিত ক্র‍্যাশ প্রোগ্রাম পরিচালনার নির্দেশ দেন।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জে. মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রি. জে. মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, পরিছন্নতা পরিদর্শক ও মশক সুপারভাইজারসহ অন্যরা।

এ বিভাগের আরো খবর