বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপির আট সমাবেশের সমান জমায়েত পলোগ্রাউন্ডে: কাদের

  •    
  • ৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৯:৩৯

‘দেখে যান ফখরুল সাহেব, আমীর খসরু সাহেব, এখানে দাঁড়িয়ে বড় বড় কথা বলেছিলেন। আটটা সমাবেশের (বিএনপির বিভাগীয় মহাসমাবেশ) সমান সমান লোক হয়েছে। আজকে পলোগ্রাউন্ডে শেখ হাসিনার জনসভায় এখানে যা লোক, তার ৮ গুণ বেশি লোক বাইরে। গোটা চট্টগ্রাম আজকে মিছিলের নগরী। মহাসমাবেশ নয়, মহাসমুদ্র।’

বিএনপির আটটি বিভাগীয় সমাবেশে যত মানুষ উপস্থিত হয়েছে, চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে আওয়ামী লীগের একটি সমাবেশেই তত মানুষ এসেছে বলে দাবি করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। প্রধানমন্ত্রীর এই সমাবেশকে মহাসমুদ্র বলেও উল্লেখ করেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা।

রোববার চট্টগ্রাম নগরীর পলোগ্রাউন্ড ময়দানে আওয়ামী লীগের জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

গত ৮ অক্টোবর এই ময়দানে জমায়েত দিয়েই বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের শুরু। এরপর আরও আটটি সমাবেশ শেষ করে ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে জমায়েতের ডাক দেয়া হয়েছে।

বিএনপির প্রতিটি সমাবেশেই নেতা-কর্মীদের বিপুল উপস্থিতি দলটিকে উজ্জীবিত করছে। নেতারা বলছেন, জনগণ যে তাদের পক্ষে, সেটি জনসভায় উপস্থিতি দেখেই প্রমাণ মিলছে। এর জবাবে আওয়ামী লীগ চ্যালেঞ্জ দিয়ে নিজেরাও বড় বড় সমাবেশ করতে থাকে। ২৪ নভেম্বর যশোরের পর চট্টগ্রামের এই সমাবেশেও ব্যাপক উপস্থিতির চ্যালেঞ্জ দেয়।

সেই চ্যালেঞ্জে দৃশ্যত তারা সফল। বিশাল ময়দান ছাড়িয়ে নেতা-কর্মীদের ভিড় ছড়ায় আশপাশের এলাকায়।

বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা গায়ে নানা রঙের রঙিন জামা, মাথায় ক্যাপ পরে জনসভায় যোগ দিতে আসেন। বিভিন্ন ইউনিটের রঙিন পোশাকের বর্ণিল রঙে সাজে পুরো মাঠ ও আশপাশের বিভিন্ন সড়ক।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেখে যান ফখরুল সাহেব, আমীর খসরু সাহেব, এখানে দাঁড়িয়ে বড় বড় কথা বলেছিলেন। আটটা সমাবেশের (বিএনপির বিভাগীয় মহাসমাবেশ) সমান সমান লোক হয়েছে। আজকে পলোগ্রাউন্ডে শেখ হাসিনার জনসভায় এখানে যা লোক, তার ৮ গুণ বেশি লোক বাইরে। গোটা চট্টগ্রাম আজকে মিছিলের নগরী। মহাসমাবেশ নয়, মহাসমুদ্র।’

তিনি বলেন, ‘কর্ণফুলীর সব ঢেউ আজ পলোগ্রাউন্ডে। বঙ্গোপসাগরের সব ঢেউ আজ চট্টগ্রাম শহরে। দেখে যান জনপ্রিয়তা কাকে বলে। ফখরুলকে বলছি কান পেতে শুনুন মহাসাগরের গর্জন। শুনতে পাচ্ছেন? আপনি না শুনতে পেলে আমীর খসরু, নোমান সাহেব, মীর নাছির সাহেব, আপনারা একটু দেখেন চট্টগ্রাম শহরের আজ কী অবস্থা।’

বিএনপির সমাবেশে যত লোক হয়, দলটি তার কয়েক গুণ দাবি করে বলেও মন্তব্য করেন কাদের। বলেন, ‘রাজশাহীতে গেছে, কত লোক হয়েছে? তরঙ্গ না ঢেউ? যা লোক হয়, ১০ হাজার হলেও কয় লাখ লাখ। এই হলো বিএনপি।’

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর শেখ হাসিনাই সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা বলেও দাবি করেন কাদের। বলেন, ‘বাংলাদেশের গত ৪৭ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে সৎ রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের গত ৪৭ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতার নাম শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের গত ৪৭ বছরে সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসকের নাম শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে গত ৪৭ বছরে বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর সবচেয়ে সাহসী নেতার নাম শেখ হাসিনা। সফল কূটনীতিকের নাম শেখ হাসিনা।

‘মৃত্যুর মিছিলে দাঁড়িয়ে যিনি জীবনের জয়গান গেয়ে যাচ্ছেন, ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে যিনি সৃষ্টির পতাকা ওড়ান, তিনি হচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা।’

উন্নয়নকে বাঁচাতে হলে, অর্জনকে বাঁচাতে হলে ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনা ছাড়া বিকল্প নেই বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগ নেতা।

প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের ‘ক্রাইসিস ম্যানেজার’ ও ‘ট্রাবলশুটার’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ আর নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় আমরা কিছুটা বিপদে আছি। এই বিপদ থেকে শেখ হাসিনাই উদ্ধার করবেন। তিনি সারা রাত ঘুমান না, জেগে থাকেন।

‘ফখরুল বলেন, সরকারের ঘুম নষ্ট হয়ে গেছে। সরকারের ঘুম নষ্ট হয়নি, ঘুম নষ্ট শেখ হাসিনার। দেশের মানুষের জন্য, দেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্য। গরিব ও দুখি মানুষকে বাঁচানোর জন্য শেখ হাসিনাকে রাত জাগতে হয়।’

বিএনপির আন্দোলনের হুমকির জবাবে কাদের বলেন, ‘খেলা হবে, হবে খেলা! বীর চট্টলা তৈরি। খেলা হবে।’

বিএনপিকে সংবিধান সংশোধনের স্বপ্ন ভুলে যাওয়া ও তত্ত্বাবধায়কের ‘ভূত’ মাথা থেকে নামিয়ে ফেলার পরামর্শও দেন কাদের। জানান, অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবেই নির্বাচন হবে।

জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেখ হাসিনা। সভা সঞ্চালনা করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।

অতিথিদের মধ্যে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোশাররফ হোসেন, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এবং মহানগরে বিভিন্ন আসনের সংসদ সদস্যরাও জনসভায় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর