পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে করা মামলায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর এই পরোয়ানা জারি করেন।
রোববার মামলার হাজিরার দিন ৪৫ জন আসামির মধ্যে হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ ১৯ জন সময় চেয়ে আবেদন করেন। অসুস্থ বিবেচনায় আদালত হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের আবেদন মঞ্জুর করে। বাকি ১৮ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। অপর ৭ আসামি হাজির না থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
একই দিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার ধার্য তারিখ ছিল। তবে রমনা থানা পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় বিচারক ১৫ জানুয়ারি নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ২০২১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ডাকে বিএনপি। সকাল ১০টায় সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও অনেক আগে থেকেই নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন। সমাবেশ ঘিরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে গিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় পুলিশের। এ সময় নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়লে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।
পুলিশের কাজে বাধা দেয়া, শৃঙ্খলা ভঙ্গ, সংঘবদ্ধভাবে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ এনে ওই দিনই পুলিশের এসআই আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলা করেন।