বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আজ হানাদারমুক্ত হয়েছিল ঝিনাইগাতী

  •    
  • ৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৪:২৫

নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই শেরপুরে শত্রু সেনাদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যেতে থাকে। ঝিনাইগাতী সীমান্ত ঘাঁটিতে মুক্তিবাহিনী, মিত্র বাহিনীর যৌথ আক্রমণে পাকিস্তানি বাহিনী দিশাহারা হয়ে পড়ে। বাধ্য হয়ে পাকিস্তানি বাহিনী ঝিনাইগাতী ছেড়ে পালিয়ে যায়।

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা মুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর মিত্র বাহিনীর সহযোগিতায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করে ঝিনাইগাতী শত্রুমুক্ত করে।

জানা গেছে, ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ সকালে শেরপুর সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে পাকিস্তানি বাহিনীকে প্রতিরোধ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করার মাধ্যমে শুরু হয় প্রতিরোধ সংগ্রাম।

২৩ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধারা ব্যাপক আক্রমণ চালিয়ে ঝিনাইগাতীর তাওয়াকুচা পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্প দখল করে নেয়।

নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই শেরপুরে শত্রু সেনাদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যেতে থাকে। ঝিনাইগাতী সীমান্ত ঘাঁটিতে মুক্তিবাহিনী, মিত্র বাহিনীর যৌথ আক্রমণে পাকিস্তানি বাহিনী দিশাহারা হয়ে পড়ে।

ঘাঁটিগুলোতে রাজাকার-আলবদরদের রেখে পাকিস্তানি সেনারা জামালপুরের দিকে পশ্চাৎপসরণ করে। অনেকটা বিনা বাধায় ঝিনাইগাতী মুক্ত হয়।

জামালপুরের কামালপুর দুর্গ পতনের আগাম সংবাদ পেয়ে ৩ ডিসেম্বর রাত দেড়টায় ঝিনাইগাতীর শালচুড়া ক্যাম্পের পাকিস্তানি বাহিনী পিছু হটে। আহমদনগর ও মোল্লাপাড়া ক্যাম্প গুটিয়ে পাকিস্তানি সৈন্যরা শেরপুর শহরে আশ্রয় নেয়।

এভাবেই ৪ ডিসেম্বর বিনাযুদ্ধে ঝিনাইগাতী শত্রুমুক্ত হয়।

এ বিভাগের আরো খবর