বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নবীন অফিসাররাই হবে একচল্লিশের সৈনিক: প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৩:০০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি সেই সঙ্গে চাই, আজকে যারা নবীন অফিসার, আমরা যেহেতু ২০২১ সালে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছি, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমাদের আজকের নবীন অফিসাররাই হবে একচল্লিশের সৈনিক, যারা এই বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবে।’

সেনাবাহিনীর নবীন কর্মকর্তারাই ২০৪১ সালের সৈনিক হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীর বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে (বিএমএ) রোববার সকালে ৮৩তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে কমিশন প্রাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত রাষ্ট্রপতি প্যারেডে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

বক্তব্যে বাংলাদেশের অবস্থান শান্তির পক্ষে বলে জানান সরকারপ্রধান। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব রেখে দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য বলেও জানান তিনি।

সমৃদ্ধ দেশ গঠনে সেনাবাহিনীর নবীন কর্মকর্তাদের একচল্লিশের সৈনিক হিসেবে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা শান্তি চাই, যুদ্ধ চাই না। জাতির পিতাই বলেছেন, ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়।’ আমরা তা যথাযথভাবে মেনে চলছি। সেভাবেই আমরা আমাদের দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।”

বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা প্রাপ্তির প্রসঙ্গ টেনে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি সেই সঙ্গে চাই, আজকে যারা নবীন অফিসার, আমরা যেহেতু ২০২১ সালে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছি, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

‘আমাদের আজকের নবীন অফিসাররাই হবে একচল্লিশের সৈনিক, যারা এই বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবে।’

স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ও সশস্ত্র বাহিনীকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার প্রসঙ্গটিও উঠে আসে তার বক্তব্যে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সরকার গঠন করার পরই ১৯৭৫ সালের পরে যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস হারিয়ে যেতে বসেছিল বা বিকৃত করা হয়েছিল, তা পরিবর্তন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এবং আদর্শে যাতে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী গড়ে ওঠে, সেই পদক্ষেপ আমরা নিই। সামরিক বাহিনীকে আধুনিকায়ন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিই।’

জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে সেনাবাহিনীকে যুগোপযোগী করার জন্য সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘তিনটি নতুন ডিভিশন, তিনটি ব্রিগেড, ৫৮টি ইউনিট আমরা প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছি। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে আর্মি অ্যাভিয়েশন ফরোয়ার্ড বেজ এবং লালমনিরহাটে অ্যাভিয়েশন স্কুল নির্মাণের কাজও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তা ছাড়া মিঠামইন, রাজবাড়ী ও ত্রিশালে সেনানিবাস গড়ে তোলা হচ্ছে।

‘মাওয়া ও জাজিরা, আমাদের যে পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে করেছি, সেই পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার জন্য শেখ রাসেল সেনানিবাসও আমরা গড়ে তুলি।’

সেনাবাহিনীতে নতুন কম্পোজিট ব্রিগেড ও প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড যুক্ত করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি বাহিনীর জন্য আমরা অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র সংগ্রহ করেছি।’

সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমিকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অ্যাকাডেমিতে পরিণত করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে আমাদের প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণের সঙ্গে সঙ্গে উচ্চ মানের ডিগ্রিও যেন অর্জন করতে পারে, সে পদক্ষেপও নিয়েছি।’

নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দীর্ঘ প্রশিক্ষণের পর কাঙ্ক্ষিত প্রশিক্ষণপ্রাপ্তির মাধ্যমে আপনারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন গর্বিত অফিসার হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। আজকে শপথের মধ্য দিয়ে আপনাদের ওপর যে দেশমাতৃকার, মহান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব অর্পিত হলো, যথাযথভাবে সেটা পালন করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।’

এ বিভাগের আরো খবর