ঢাকায় আগামী ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় বিভাগীয় সমাবেশ বানচাল করতে খুলনায় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, হয়রানি ও তাদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
দলটির দাবি, ঢাকায় কর্মসূচিতে কারা অংশ নেবেন, তার এলাকাভিত্তিক তালিকা তৈরি করে চলছে পুলিশের এ অভিযান।
খুলনা মহানগর বিএনপি শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, খুলনার বিভিন্ন থানা থেকে শনিবার বিকেলে ছয় নেতাকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি অসংখ্য নেতা-কর্মীর বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য এহতেশামুল হক শাওনের পাঠানো বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই মুহূর্তে আপনাদের (পুলিশ) ভূমিকা কালের কষ্টিপাথরে বিচার করা হবে। প্রজাতন্ত্রের সেবক হিসেবে আপনাদের কর্তব্য হবে মুক্তিকামী ১৮ কোটি মানুষের বিপক্ষে না দাঁড়িয়ে, সরকারের অন্যায় হুকুম তামিল না করে, সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করা।’
বিবৃতিতে জানানো হয়, শনিবার বিকেলে খানজাহান আলী থানার অভিযানে ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক এমদাদুল হক, যুবদল নেতা মেহেদী হাসান বাপ্পী ও বিএনপি কর্মী আরেফিন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
সদর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে হোসেন ও ইয়াসিনকে। লবণচরা থানা পুলিশের অভিযানে আটক হয়েছেন ৩১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আসলাম। তাদের নামে কোনো মামলা বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নেই।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের অসংখ্য নেতা-কর্মীর বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক কথাবার্তা বলা হচ্ছে। একই সঙ্গে ঢাকায় সমাবেশে যোগ না দিতে হুঁশিয়ার করা হচ্ছে। ঢাকায় গেলে পরিণতি খারাপ হবে বলে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে।
বিএনপি নেতারা বলেন, সরকার দেশটাকে খাদের কিনারে নিয়ে গেছে। দ্রব্যমূল্যের নজিরবিহীন ঊর্ধ্বগতি জনজীবনে নাভিশ্বাস সৃষ্টি করেছে। জনগণকে ঋণের বোঝায় ডুবিয়ে লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে তারা বেগমপাড়া গড়ছে। দেশের রিজার্ভ আজ তলানিতে।
অনিশ্চিত আগামীর দুর্ভাবনায় সারা দেশে বিভাগীয় সদরে বিএনপির গণসমাবেশে লাখো মানুষের উপস্থিতি সরকারের জনবিচ্ছিন্নতাকে প্রমাণ করে দিয়েছে। জনদাবির সমর্থনে বিএনপির কর্মসূচি নানা চক্রান্ত ষড়যন্ত্র ও প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও মানুষ সফল করেছে।
১০ ডিসেম্বরেও ঢাকার কর্মসূচি নয়াপল্টনেই সফলভাবে পালন করা হবে দাবি করে বিএনপি বলেছে, বাধার পাহাড় ডিঙিয়ে পালন হওয়া বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি থেকে সরকার পতনের চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা আসবে।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম জহির ও যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মো. রাশেদ।