রাজধানীর বনানী ও মতিঝিল এলাকার বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল ও মেসে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। তবে আটক ও উদ্ধার সম্পর্কে রাতে কিছু জানাতে রাজি হননি পুলিশ কর্মকর্তারা।
শনিবার রাত ৯ টার দিকে বনানীর কাকলী মোড়ে শুরু হওয়া এক অভিযানে পুলিশ সেখানে আবাসিক হোটেলে অবস্থানরতদের পরিচয় যাচাইয়ের পাশাপাশি আশেপাশে তল্লাশি চালায়।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানায়, কাকলীর ইনসাফ নামের একটি আবাসিক হোটেলে জঙ্গিরা অবস্থান করছে, এমন তথ্যে অভিযান শুরু হয়। পরে আশেপাশের অন্য হোটেলে তল্লাশি চলে।
অভিযানের তথ্য নিশ্চিত করে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আযম মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের কাছে প্রাথমিক তথ্য আছে হোটেলটিতে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্তরা অবস্থান করছে। এজন্য আমরা এখানে অভিযান পরিচালনা করছি।’
কাকলীর হোটেল ইনসাফে জঙ্গিদের অবস্থানের তথ্য পেয়েছিল পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
মধ্যরাত পর্যন্ত কাকলী এলাকার বিভিন্ন হোটেলে পুলিশের একাধিক টিমকে অবস্থান করতে দেখা যায়। তখন কাউকে আটক অথবা গ্রেপ্তারের বিষয় নিশ্চিত করেননি পুলিশ কর্মকর্তারা।
শতাধিক পুলিশ সদস্য কাকলী এলাকার হোটেলগুলোতে ঢুকে তল্লাশি চালায়। একাধিক হোটেলে ও মেসে অভিযান চালালেও সন্দেহভাজন কাউকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি পুলিশ।
রাত সাড়ে দশটায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আযম মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে আদালত থেকে পলাতক জঙ্গিরা কাকলী এলাকায় আত্মগোপন করে আছে। তাই আমরা এই এলাকার সম্ভাব্য সব জায়গায় অভিযান পরিচালনা করছি। কাকলী এলাকার সকল আবাসিক হোটেল ও মেসে ধারাবাহিকভাবে আমাদের অভিযান চলবে। তবে এখনো পর্যন্ত সন্দেহভাজন কাউকে পাওয়া যায়নি, আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
এদিকে রাত দশটার দিকে মতিঝিলের দৈনিক বাংলা মোড়ে পুলিশ তল্লাশি চালায় হোটেল রহমানীয়াতে। পুলিশের বিশেষ অভিযান চলে পল্টনসহ আশেপাশের এলাকাতেও।
মতিঝিল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়াসির আরাফাত বলেন, আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। এ বিষয়ে পরে জানানো হবে।