বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাকা দখল করবেন, আমরা কি ললিপপ খাব: ওবায়দুল কাদের

  •    
  • ৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ২২:৫৭

ওবায়দুল কাদের বলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটি এক সঙ্গে ঘোষণা করা হবে।

১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের পর বিএনপি দেশে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি করবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘আমি খবর পেয়েছি আজ বিএনপির রাজশাহীর সমাবেশ সুপার ফ্লপ হয়েছে। ফখরুল এখন হুংকার ছাড়ছেন। ১০ ডিসেম্বর যখন চলে যাবে, জানি অবরোধ দেবেন, জানি ধর্মঘট দেবেন, জানি আবারও আগুন-সন্ত্রাস শুরু করবেন। জানি আবারও লাঠিখেলা করবেন, ঢাকা দখল করবেন। তবে আমরা কি বসে থাকবো? দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ললিপপ খাবো?’

শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘তারেক রহমান লন্ডনের টেমস নদীর তীর থেকে বাণী পাঠাচ্ছে; আর দেশে বসে ফখরুল হুংকার ছাড়ছেন। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবে, মন্ত্রীরা সবাই দেশ ত্যাগ করবে, এসব কথা ছড়ানো হচ্ছে, তবে কখনো তা হবে না।

আওয়ামী লীগ কাউকে ভয় পায় না। শেখ হাসিনা আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পায় না। আওয়ামী লীগ ভয় পায় আপনাদের আগুন সন্ত্রাস, লাঠি নিয়ে খেলাধুলাকে। সেই বদ মতলব আপনাদের আছে। সে জন্যই আপনাদের পল্টন দরকার।’

সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যারা ভোট চুরি করে তারাই আবার ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার কথা বলে। তবে গ্রামের নিরীহ মানুষ এখন বলে বিএনপি থেকে সাবধান। বিএনপিকে কেউ বিশ্বাস করে না।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হবে না। সংবিধান পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ নেই। সংবিধানকে অনেক কচুকাটা করেছেন। আইন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার ঘাতকদের বিচার বন্ধ করেছিলেন। সংবিধানে হাত দেওয়ার অধিকার কারো নেই। কাজেই তত্ত্বাবধায়ক দিবা স্বপ্ন; রঙিন খোয়াব দেখে লাভ নেই।’

পল্টনে সমাবেশ করার বিএনপির দাবির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি কেন সোহরাওয়ার্দী মাঠকে বাদ দিয়ে পল্টনে জনসভা করতে চায়? তার কারণ আমরা সবাই জানি। গত নির্বাচনের আগেওতো বেগম জিয়া এখানে মিটিং করেছেন।

কিন্তু ফখরুল সাহেব, আপনি কেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চান না? ধরা পরে গেছে, ধরা পড়ে গেছে! স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আপনার মধ্যে নেই, তা আবারো প্রমাণিত হলো। এ কারণেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চাইছেন না।’

এ সময় গণমাধ্যমের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আমরা এত বড় বড় জনসভা করি, কিন্তু কিছু মিডিয়া ওভাবে নিউজ দেয় না। কিন্তু ফখরুল দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিলে পুরো ছবিসহ কাভারেজ পান। যারা আমাদের পছন্দ করেন না, তাদেরকে বলেছি- আমরা বেশি চাই না। আমাদের ন্যায্য কাভারেজ দিন।’

দীর্ঘ চার বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিকেল সাড়ে ৩টায় ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় উপস্থিত হলে দলীয় সংগীত এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে দেশ এবং দলের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর গান এবং নৃত্য পরিবেশন শেষে আল নাহিয়ান জয় সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, প্রতি দুই বছর পর পর সম্মেলনের কথা থাকলেও করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো। ফলে সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা দেখা যায়।

সারাদিন পুরো ক্যাম্পাসে ছিল সাজ সাজ রব; আর উৎসবের আমেজ। দীর্ঘ প্রতিক্ষিত এ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য এবং ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।

এবার ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ এই ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ২৪৫ জন নেতা-কর্মী জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন।

ঢাবি ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কমিটি এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের কমিটি এক সঙ্গে ঘোষণা করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর