নরসিংদীর রায়পুরায় দুর্বৃত্তের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন মির্জাচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা জাফর ইকবাল মানিক।
শনিবার বিকেলে নিজ ইউনিয়নের শান্তিপুর বাজারে ৫০ বছর বয়সী চেয়ারম্যান মানিককে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) সত্যজিৎ কুমার ঘোষ। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চেয়ারম্যান নিহত হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্স নিয়ে অবস্থান করছি। প্রাথমিক তদন্ত শেষে ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য বলা যাবে।’
চেয়ারম্যান মানিকের ভাই বারসন মিয়া ঘটনার জন্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফিরোজ মিয়াকে দায়ী করেন।
তিনি বলেন, ‘পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষ মির্জাচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মিয়ার সমর্থকরা গুলি করে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। তার মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
স্বজনরা জানান, জাফর ইকবাল মানিক মির্জাচর গ্রামের মৃত আব্দুল মোতালিব মিয়ার ছেলে। তিনি টানা দুইবার মির্জাচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি একই ইউনিয়নের যুবলীগ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন মো. ফিরোজ মিয়া। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি জাফর ইকবাল মানিক। এরই জেরে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর থেকে এলাকা ছাড়া ফিরোজের সমর্থকরা। শুক্রবার এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অনুরোধে দুইপক্ষ আপসের জন্য বৈঠকে বসেন। কিন্তু আপস মানেননি ফিরোজ সমর্থকরা। এ নিয়ে বরং উত্তেজনা বাড়ে।
শনিবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে শান্তিপুর বাজারে যান চেয়ারম্যান মানিক। এ সময় তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মির্জাচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যার। ভিন্ন মাধ্যমেও তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।