বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘খেলা হবে’ রাজনৈতিক স্লোগান হতে পারে না: তোফায়েল

  •    
  • ৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৯:০৭

রাজনীতিতে শিষ্টাচার এবং গুণগত চর্চা হারিয়ে যাচ্ছে বলে খেদ প্রকাশ করে বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ বলেন, "অনেকের মুখেই 'খেলা হবে' স্লোগান শুনতে পাই। কিন্তু এমন স্লোগান রাজনীতিকে সমৃদ্ধ করে না।"

সম্প্রতি আলোচিত-সমালোচিত রাজনৈতিক স্লোগান ‘খেলা হবে’-এর সমালোচনা করেছেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, এটা কোনো রাজনৈতিক স্লোগান হতে পারে না।

শনিবার যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মণির ৮৪তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ প্রধান কার্যালয়ের সামনে যুবলীগের আয়োজনে এ অনুষ্ঠান হয়।

দীর্ঘদিন পর কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বক্তব্য দিলেন তোফায়েল আহমেদ। রাজনীতিতে শিষ্টাচার এবং গুণগত চর্চা হারিয়ে যাচ্ছে বলে খেদ প্রকাশ করে তিনি বলেন, "অনেকের মুখেই 'খেলা হবে' স্লোগান শুনতে পাই। কিন্তু এমন স্লোগান রাজনীতিকে সমৃদ্ধ করে না।’

১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে অল্প জায়গায় বেশি লোক দেখিয়ে বিএনপি ধোঁকা দিতে চায় বলেই দলটি সেখানে সমাবেশ করতে চায় বলে মন্তব্য করেন তিনি। বর্ষীয়ান এই জননেতা বলেন, ‘ওখানে মাত্র ২০-৩০ হাজার লোক হলেই মঞ্চ ভরে যায়। ব্লাফ দেওয়ার জন্যে বিএনপি এটা করতে চায়।’

আওয়ামী লীগের প্রবীণ এই নেতা বলেন, ‘বিশৃঙ্খলা করার উদ্দেশ্যে সমাবেশ করবে বিএনপি। এ ব্যাপারে যুবলীগের সভাপতির নেতৃত্বে আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। সতর্ক থাকবেন। কেউ যেন আমার দেশ নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে।’

দেশের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র চলছে অভিযোগ করে তোফায়েল বলেন, ‘আমরা অনুমতি দিয়েছি, ছাত্রলীগের সমাবেশ দুদিন এগিয়ে নিয়েছি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু পল্টনে বিশৃঙ্খলা করতে সমাবেশ করতে চায় বিএনপি।’

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘শেখ হাসিনা ছাড়া কারোর পক্ষে পদ্মা সেতু, টানেল, মেট্রোরেল করা সম্ভব হতো না। উন্নয়নমূলক কাজকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে নানা চক্রান্ত চলছে। কেউ যেন দেশ নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেদিকে সবাইকে নজর রাখতে হবে।’

যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি সম্পর্কে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমি যতটুকু হয়েছি, তার সবচেয়ে অবদান শেখ ফজলুল হক মণি ভাইয়ের। উনি শুধু নেতা ছিলেন না, নেতা তৈরি করতেন। আমার সৌভাগ্য তার সঙ্গ পেয়েছিলাম।’

তিনি বলেন, "মণি ভাই ছিলেন আমার প্রিয় নেতা। আমি যখন বরিশালে বিএম কলেজে পড়তাম, তখন তিনি আমার হোস্টেলে গিয়েছিলেন। আমাকে বলেছিলেন, 'তুমি আমার সঙ্গে ছাত্রলীগের রাজনীতি কর।' তখন মণি ভাই ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তারপর থেকে আমার ছাত্রলীগে যাত্রা শুরু।

"তার সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি। তাকে গ্রেপ্তার করার পরে ১৯৬৭ সালে মুক্তি পেয়েছিলেন। আমরা একসঙ্গে মুজিব বাহিনীতে ছিলাম।"

একই অনুষ্ঠানে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ‘একটা তথাকথিত বিরোধী দল বিএনপি-জামায়াত আজ দেশবিরোধী অপপ্রচারে লিপ্ত, কীভাবে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা রোধ করা যায়, শেখ হাসিনার জনবান্ধব সরকারকে পরাস্ত করে কীভাবে ক্ষমতায় আসা যায়, সেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারা। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে একটা মৌলবাদী ব্যর্থ রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করা। কিন্তু শেখ হাসিনার জন্য সর্বোচ্চ আত্মাহুতি দিতে আমরা প্রস্তুত।’

তিনি বলেন, ‘শেখ মণির জন্মদিন আমার কাছে ব্যক্তিগত পর্যায়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিকভাবেও তাৎপর্যপূর্ণ। ব্যক্তিগতভাবে আমার বাবা শেখ মনিকে আমি খুব কম পেয়েছি। মাত্র ৫ বছর, তার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ, সাংবাদিকতা, লেখালেখি, রাজনীতি, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠন– সব মিলিয়ে বাবা ভীষণ ব্যস্ত সময় কাটাতেন। কিন্তু যতটুকু সময় পেয়েছি, আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ স্মৃতি হিসেবে তা চিরভাস্বর।’

এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল। এ ছাড়া আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনুদ্দিন রানা, সাধারণ সম্পাদক ভারপ্রাপ্ত রেজাউল করিম রেজাসহ যুবলীগের জাতীয় নেতারা।

এ বিভাগের আরো খবর