সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে। ২০০৮ সালে সবশেষ এই পরীক্ষা হয়েছিল।
পরের বছর পঞ্চম শ্রেণিতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা চালু হলে বাদ হয়ে যায় প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষা। তবে গত ২৮ নভেম্বর আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় আবার এ পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের সই করা এক অফিস আদেশ এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে মেধাবৃত্তি প্রদানের বিকল্প মেধা যাচাই পদ্ধতিবিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়েছে। এতে বর্তমানে প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রাথমিক বৃত্তি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে বৃত্তি পরীক্ষা নিতে হবে। এ পরীক্ষা উপজেলা সদরে অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলা, ইংরেজি, বিজ্ঞান ও গণিত এই চার বিষয়ে এক দিনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দুই ঘণ্টায় শিক্ষার্থীদের ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। তবে সব শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ থাকবে না। মোট শিক্ষার্থীর ১০ শতাংশ হিসাব করে কেন্দ্রের সংখ্যা নির্ধারণ করে ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে তথ্য পাঠাতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
২০০৯ সালে জাতীয়ভাবে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য পিইসি পরীক্ষা শুরু করে সরকার। এরপর থেকে এর ফলের ভিত্তিতেই বৃত্তি দেয়া হতো। করোনা সংক্রমণের কারণে গত দুই বছর পিইসি পরীক্ষা হয়নি। ফলে দেয়া হয়নি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি।
নতুন শিক্ষাক্রমে অবশ্য বৃত্তি পরীক্ষার উল্লেখ নেই। একেবারে দশম শ্রেণিতে গিয়ে পাবলিক পরীক্ষা (এসএসসি ও সমমান) নেয়ার কথা বলা হয়েছে। আগামী বছর থেকে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হবে।