বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জঙ্গি-পৃষ্ঠপোষক বিএনপির হাতে দেশ তুলে দেব না: তথ্যমন্ত্রী

  •    
  • ৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ২০:২০

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ও জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপির হাতে আমরা দেশকে তুলে দিতে পারি না।

বাংলাদেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শনিবার চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল পলোগ্রাউন্ড মাঠ পরিদর্শন শেষে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “বিএনপি স্লোগান দেয় ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’, বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে যাও। কিন্তু বাংলাদেশ আজ উন্নতির সোপানে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে, আমরা দেশকে পেছনে নিয়ে যেতে পারি না। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ও জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপির হাতে আমরা দেশ তুলে দেব না। জনগণকে আমরা সে সব বিষয় ব্যাখ্যা করব।”

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি আবার বাংলাভাই, শায়খ আবদুর রহমানের জমানায় দেশকে নিয়ে যেতে চায়। তাদের কাজ আবার হাওয়া ভবন ও খোয়াব ভবন সৃষ্টি কর, পাঁচশ’ জায়গায় বোমা ফাটাও, দুর্নীতিতে দেশকে আবার পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন বানাও।’

চট্টগ্রামে রোববার অনুষ্ঠেয় জনসভার সার্বিক প্রস্তুতি এবং পরিস্থিতি অত্যন্ত সন্তোষজনক বলে জানান তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে চট্টগ্রাম জুড়ে ব্যাপক সাড়া জেগেছে, মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আশা করছি পলোগ্রাউন্ড পূর্ণ করে মাঠের বাইরে আরও আট-দশগুণ মানুষ হবে।’

বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের জনসভা বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন নয়াপল্টনের সামনেই তাদের জনসভা হবে। আসলে ওদের উদ্দেশ্য জনসভা করা নয়, দেশে একটা গণ্ডগোল লাগানো এবং দেশকে অস্থিতিশীল করা।

'বিএনপির আবেদন অনুযায়ী তাদের সুবিধার্থে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সেখানে না গিয়ে নয়াপল্টনে জনসভা হবে- এটি বার বার ঘোষণা দেয়ার অর্থ হচ্ছে দেশে একটি গণ্ডগোল লাগানো। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে তারা এটি বলছে। সরকার দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য কাউকে অনুমতি ও লাইসেন্স দিতে পারে না। তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে, সেটি আমরা হতে দেব না।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড অনেক বড় মাঠ। এখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জনসভা করেছেন, বঙ্গবন্ধু-কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাও জনসভা করেছেন। কানায় কানায় পূর্ণ জনসভা হয়েছে। অতীতেও মাঠ ছাড়িয়ে মানুষ বাইরে দাঁড়িয়েছে। আমরা যেভাবে সাড়া দেখতে পাচ্ছি, এবার মাঠের তুলনায় আট-দশগুণ বেশি মানুষ মাঠের বাইরে থাকবে।’

জনসভার মধ্য দিয়ে দেশবাসীকে আওয়ামী লীগ কী বার্তা দিতে চায়- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেহেতু জনগণের রায় নিয়ে সরকার গঠন করেছি, জনগণের সামনে হাজির হওয়া আমাদের দায়িত্ব। দেশ আগে কোথায় ছিল, এখন কোথায় গেছে, আমরা জনগণের জন্য কী করেছি, দেশকে আমরা কোথায় নিয়ে যেতে চাই- এসব বিষয় জনগণের সামনে উপস্থাপন করব। জনগণের দল হিসেবে এটা আমাদের দায়িত্ব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ হচ্ছে গণমানুষের দল, আমরা জনগণের জন্যই কাজ করি। প্রধানমন্ত্রী ১৪ বছরে বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করেছেন। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে উন্নীত হয়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয় পাকিস্তানকে বহু আগেই ছাড়িয়েছে, ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে।’

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমপি মোছলেম উদ্দিন আহম্মদ, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, উত্তর জেলার সভাপতি এম এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিম পেয়ারুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা ঘিরে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে চট্টগ্রামে। জনসভার ডেকোরেশনের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান শাহাবুদ্দিন ডেকোরেশনের মালিক শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘সভাস্থলের কাজ প্রায় শেষ। মঞ্চও প্রস্তুত। এখন কিছু মাইক লাগানো বাকি। এখন পর্যন্ত সভাস্থলের আশপাশে দুইশ’ মাইক লাগানো হয়েছে। আরো একশ’ মাইক লাগানো হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর