জেলিফিশে ভরে গেছে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। প্রতিবছর এই সময় সৈকতে জেলিফিশের দেখা মেলে। এবার অনেক বেশি আসছে দফায় দফায়।
শনিবার সৈকতের শৈবাল পয়েন্ট ছেয়ে গেছে অসংখ্য জেলিফিশে। সকালে জোয়ারের পানিতে জেলিফিশগুলো ভেসে আসে।
দায়িত্বরত সৈকতকর্মী বেলাল হোসেন জানান, ধারণা করা হচ্ছে, টানা জালে আটকে মারা পড়েছে জেলিফিশগুলো। জেলেদের ফেলে দেয়া মৃত জেলিফিশ ভাসতে ভাসতে সৈকতে চলে আসে।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার জানান, কক্সবাজারের কাছাকাছি সমুদ্রে জেলিফিশের জন্ম হয় বেশি। জেলেদের কাছে এই মাছের কোনো গুরুত্ব না থাকায় তারা মেরে ফেলেন। মরা মাছগুলো একপর্যায় কূলে ভেসে আসে। সৈকতে জেলিফিশে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
তিনি আরও জানান, জেলিফিশের সংস্পর্শে কোনো ধরনের ক্ষতি হয় না, বরং প্রক্রিয়া করা গেলে খাদ্য হিসেবে বেশ উপযোগী। এ নিয়ে গবেষণা চলছে।
স্থানীয় ভাষায় জেলিফিশকে নুইন্না বলা হয়। হাবিবুর রহমান নামের এক জেলে বলেন, 'কক্সবাজারের মানুষ জেলিফিশ খায় না। এগুলো বেচাকেনাও হয় না। ফলে এসব আমাদের কোনো কাজে আসে না। কিছু প্রজাতির জেলিফিশ গায়ে লাগলে বেশ চুলকায়। তাই এসব জালে আটকা পড়লে আমরা ফেলে দিই।'
গত ৩ ও ৪ আগস্ট এবং ১১ নভেম্বর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে বিপুল পরিমাণে জেলিফিশ ভেসে আসে। এসব জেলিফিশের নমুনা নিয়ে গবেষণা করছেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিওআরআইর) বিজ্ঞানীরা।