ভৌগোলিকভাবে পাশাপাশি অবস্থানসহ নানা কারণে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক পর্যায়ক্রমে আরও সুদৃঢ় হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
আসামের কাছাড় জেলার শিলচর পুলিশ গ্রাউন্ডে ২ থেকে ৩ ডিসেম্বর দুই দিনব্যাপী শিলচর-সিলেট উৎসবের প্রথম দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
ভারতের সঙ্গে বিশেষ করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভৌগোলিকভাবে পাশাপাশি অবস্থান, ঐতিহাসিকভাবে ঘনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক বন্ধন, ভাষা, শিল্প-সাহিত্য, রন্ধন ঐতিহ্য ও দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্কের মতো বহুবিধ কারণে দুই দেশের সুসম্পর্ক পর্যায়ক্রমে আরো সুদৃঢ় হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘শিলচর-সিলেট উৎসব আমাদের অভিন্ন সংস্কৃতি, ভাষা, শিল্প-সাহিত্য, পারস্পরিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা এবং আমাদের অভিন্ন অর্জনগুলো উদযাপনের গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। এ উৎসব নিয়মিত আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারতের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি কার্যকরভাবে প্রয়োগের ফলে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে সার্বিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখেছে, যা ভারতীয় নেতৃত্বের দ্বারাও স্বীকৃত ও প্রশংসিত হয়েছে।’
এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারলে দু দেশের জনগণ উপকৃত হবে।’
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারত সরকারের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সংস্কৃতি, পর্যটন ও উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি, আসাম সরকারের পরিবহন, আবগারি ও মৎস্য মন্ত্রী পরিমল শুক্লাবাইদিয়া এবং ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মিজোরামের গভর্নর কম্ভামপতি হরি বাবু।
এ সময় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে অন্যদের মধ্যে সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক, ইকবালুর রহিম, গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, সাবেক পররাষ্ট্রসচিব শমসের মবিন চৌধুরী, সিলেটের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই শিলচর-সিলেট উৎসবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেছে। প্রতিনিধিদল শুক্রবার সকালে সড়কপথে সিলেটের শেওলা সীমান্ত দিয়ে ভারতের সুতারকান্দি আইসিপিতে পৌঁছালে সেখানে ভারতের বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা স্বাগত জানান। পরে সেখান থেকে তারা আসামের শিলচরে পৌঁছেন।