পরিবহন ধর্মঘটের কারণে প্রায় ২০০ মোটরসাইকেল নিয়ে বিএনপির রাজশাহীর সমাবেশে গেছেন বগুড়ার নেতাকর্মীরা। তবে সড়কের বিভিন্নস্থানে পুলিশি বাধা ও হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা শুক্রবার সকালে বাইকে করে রাজশাহীর উদ্দেশে রওনা হন। পরে দুপচাঁচিয়া উপজেলার সাহারপুকুর এলাকায় পুলিশের চেকপোস্টে বাধার মুখে পড়ে বহরটি।
এ সময় লাইসেন্সবিহীন ১০টি বাইক আটক করা হয়।
এদিকে বিএনপির সমাবেশ ঘিরে বগুড়া জেলা পুলিশের সদস্যদের সকাল থেকেই তৎপর দেখা যায়। শহরের গোদারপাড়া বাজারে চেকপোস্ট বসানো হয়। এ ছাড়া বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়েও পুলিশের চেকপোস্ট দেখা যায়।
নেতাকর্মীরা জানান, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে বিভিন্ন এলাকা দিয়ে ঘুরে এসে বিএনপির নেতাকর্মীরা গোদারপাড়ার পরের এলাকা এরুলিয়া দিয়ে মহাসড়কে উঠে আসেন। সেখান থেকে স্লোগান দিয়ে রাজশাহীর পথ ধরেন তারা।
এ সময় তাদের হাতে পতাকাবাহী লাঠি দেখা গেছে। পরে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কাহালুর বীরকেদার এলাকায় বাইকের বহর আটকে দেয় পুলিশ। কাগজপত্র যাচাই করে ৩০ মিনিট পর বহরটিকে যেতে দেয়। তবে তাদের হাতে থাকা লাঠিগুলো নিয়ে নেয় পুলিশ।
বীরকেদা থেকে ছাড়া পেয়ে দুপচাঁচিয়ার সাহারপুকুরে চেকপোস্টে আবারও মোটরসাইকেলের বহর আটকে দেয়া হয়। প্রায় এক ঘণ্টা তল্লাশির পর তাদের যেতে দেয় পুলিশ। এ সময় কাগজ না থাকায় ১০টি মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম রিগান বলেন, ‘আমরা বগুড়া থেকে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রায় ৩০০ মোটরসাইকেল নিয়ে রাজশাহীর সমাবেশে যোগ দিতে রওনা হই। বগুড়া শহরে কোনো বাধার মুখে না পড়লেও বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্টের নামে আমাদের হয়রানি করা হয়।
জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খাদেমুল ইসলাম খাদেম বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে রাজশাহীর সমাবেশে যোগ দেয়ার জন্য আমরা বের হয়েছিলাম। পথে পথে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাধা দিয়ে হয়রানি করেছেন। আমাদের অসংখ্য নেতা-কর্মীর মোটরসাইকেল জব্দ করেছে পুলিশ।
তবে হয়রানির বিষয়টি সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন দুপচাঁচিয়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীরা নিজেদের সময় নিজেরাই নষ্ট করেছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে চেকপোস্টে তল্লাশি করা হয়েছে। কাউকে হয়রানি করার অভিযোগ সত্য নয়।’
মোটরসাইকেল আটকের বিষয়ে ওসি বলেন, ‘কাগজপত্র না থাকায় ১০টি বাইক জব্দ করা হয়েছে। তবে সেগুলো বিএনপি নেতা-কর্মীদের কি-না তা জানা নেই।’
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম বলেন, আমাদের নিয়মিত নিরাপত্তা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। কাউকে আটক করা হয়নি। শুধু বাইক, অন্যান্য গাড়ির কাগজপত্র যাচাই করছে পুলিশ।’