বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দিতে আশপাশের জেলা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী এরই মধ্যে রাজশাহীত পৌঁছেছেন। নগরীর মাদ্রাসা মাঠে চলছে মঞ্চ তৈরি।
আয়োজকরা বলছেন, অন্য বিভাগীয় সমাবেশের মতো রাজশাহীর মঞ্চেও ফাঁকা থাকবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের চেয়ার। বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালাকদার দুলু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নিত্যপণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ ও দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে ৮ অক্টোবর থেকে প্রতি শনিবার দেশজুড়ে বিভাগীয় সমাবেশ করছে বিএনপি। এ পর্যন্ত আটটি সমাবেশ হয়েছে। শনিবার নবম সমাবেশটি হচ্ছে রাজশাহীতে।
দুলু জানান, সকাল ৯টার দিকে মঞ্চে আসন গ্রহণ শুরু হবে। প্রতিবারের মতো এবারও সমাবেশ মঞ্চে দুটি চেয়ার ফাঁকা রাখা হবে।
কুমিল্লায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির রেখে বিএনপির সমাবেশের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের পাশাপাশি গীতা ও ত্রিপিটকের বাণীও পাঠ করা হয়। ছিল বাইবেল পাঠের পরিকল্পনাও, তবে নির্ধারিত ব্যক্তির স্বজনের অসুস্থতার কারণে শেষ পর্যন্ত সেটি হয়নি।রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশেও তেমনটি হবে কি না এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি বিএনপি। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আপনি এটা বলে খুব ভালো করেছেন। কুমিল্লার বিষয়টি আমি জানতাম না। এটা চমৎকার উদ্যোগ। আমি অবশ্যই হাইকমান্ডের কাছে এই প্রস্তাব রাখব, এ নিয়ে আলোচনা করব।’শুক্রবার দুপুরে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত কী হলো জানতে চাইলে দুলু জানান, এখনও কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।
দুপুরে মাদ্রাসা মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন মঞ্চ প্রস্তুতকারী কর্মীরা। মাদ্রাসা মাঠের মূল মঞ্চের সঙ্গে কাঠ জোড়া দিয়ে কিছুটা বড় করা হয়েছে। সেখানে এখন তৈরি করা হচ্ছে বাঁশের ফ্রেম। পাশেই আরও একটি মঞ্চ তৈরি শেষ। সেখানে টানানো হচ্ছে শামিয়ানা।
মাঠজুড়ে রয়েছে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা। মঞ্চ বানানো শ্রমিক ছাড়া সেখানে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। গণমাধ্যমকর্মীরা পরিচয় নিশ্চিত করার পর মাঠে ঢুকতে পারছেন। তবে পরিদর্শনের জন্য বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা কিছু সময়ের জন্য প্রবেশ করতে পারছেন।