যশোরের মণিরামপুরে বাবা-ছেলেকে পিষ্ট করে একটি কাভার্ড ভ্যান সড়কের পাশে খাবারের হোটেলসহ কয়েকটি দোকান দুমড়েমুচড়ে ফেলে। এ ঘটনায় পাঁচজন নিহত হন। পুলিশ ট্রাকটিকে জব্দ করলেও পালিয়ে গেছেন চালক ও সহকারী।
নিহতদের মধ্যে বাবা ও ছেলের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন বেগারীতলা এলাকার বাসিন্দা ৪৫ বছর বয়সী হাবিবুর রহমান ও তার সাত বছরের ছেলে তাওশিদ হোসেন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় মণিরামপুর উপজেলার বেগারীতলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. মনিরুজ্জামান।
ওসি বলেন, ‘কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় বেগারীতলার প্রায় ১০টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিহত হয়েছেন পাঁচজন। আমরা এসে কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করেছি। তবে চালক বা হেলপার কাউকে পাইনি। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস একত্রে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।’
ওসি আরও বলেন, ‘ওই কাভার্ড ভ্যানটি যশোর থেকে মণিরামপুরের দিকে যাচ্ছিল। বেগারীতলা এলাকায় পৌঁছালে বাবা ও ছেলে একসঙ্গে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। তখন দ্রুতগতির কাভার্ড ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে বাবা-ছেলেকে চাপা দেয়। পরে সড়কের পাশের কয়েকটি দোকান ও হোটেলের মধ্যে ঢুকে পড়ে। এতে হোটেলে থাকা আরও তিনজন নিহত হয়।’
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নিহত চারজনের বাড়ি বেগারীতলা এলাকায়। বাকি একজনের বাড়ি পাশের জয়পুর গ্রামে।’
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতালে নেয়া হবে বলে তিনি জানান। এ ঘটনায় মণিরামপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।