বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভাঙ্গায় ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার

  •    
  • ২ ডিসেম্বর, ২০২২ ০৯:১৮

ভাঙ্গা থানার ওসি জিয়ারুল ইসলাম জানান, বুধবার সকালে উপজেলার শরীফাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে শাখায়াত শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন বলে বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযোগ করেন ওই ছাত্রীর অভিভাবক। এর ভিত্তিতে হওয়া ধর্ষণচেষ্টা মামলায় প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় শাখায়াত হোসেন নামের প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

থানায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে হওয়া মামলায় বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, বুধবার সকালে উপজেলার শরীফাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে শাখায়াত শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন বলে বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযোগ করেন ওই ছাত্রীর অভিভাবক। এর ভিত্তিতে হওয়া ধর্ষণচেষ্টা মামলায় প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি জানান, শুক্রবার শিক্ষককে আদালতে পাঠানো হবে।

ওসি আরও জানান, বুধবার সকালের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে শতাধিক শিক্ষার্থী ও বহিরাগতরা স্কুলের সামনে অবস্থান নেয়। তারা সড়ক অবরোধ করে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে।

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, বুধবার সকালে শরীফাবাদ স্কুলে পরীক্ষা দিচ্ছিল ওই ছাত্রী। নকল করার অভিযোগে তার খাতা নিয়ে এক ঘণ্টা আটকে রাখেন দায়িত্বরত শিক্ষিকা। মেয়েটি কান্নাকাটি করলে প্রধান শিক্ষক শাখায়াতের কাছে গিয়ে অনুমতি আনার কথা বলেন ওই শিক্ষিকা।

পরে মেয়েটি খাতা ফেরত চাইলে প্রধান শিক্ষক তাকে তার কক্ষে যেতে বলেন। কক্ষে প্রবেশ করতেই মেয়েটিকে জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন তিনি। মেয়েটি চিৎকার দিলে তার মুখ চেপে ধরে ঘটনাটি কাউকে না জানানোর হুমকি দেন শাখায়াত। পরে ছাত্রী পরীক্ষা না দিয়ে বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে ঘটনাটি জানায়।

মেয়েটির বাবা বলেন, ‘মীমাংসার জন্য শাখায়াতের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মহল চাপ দিয়েছে। আমি কোনো মীমাংসায় যাব না।’

অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক শাখায়াত হোসেন বলেন, ‘বুধবার পরীক্ষা দেয়ার সময় নকলের অভিযোগে মেয়েটির খাতা জব্দ করে দায়িত্বরত শিক্ষক। মেয়েটি আমার কাছে এসে বিস্তারিত জানালে আমি তাকে বাড়ি যেতে বলি এবং পরবর্তী পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলি।

‘সে আমার পা জড়িয়ে ধরে মাফ চাইলে আমি পরীক্ষা হলে গিয়ে দায়িত্ব পালন করা শিক্ষিকাকে খাতা ফেরত দেয়ার অনুরোধ করি, কিন্তু হঠাৎ সে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।’

এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিম উদ্দিন বলেন, ‘আমি এবং ভাঙ্গা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি।’

স্থানীয়দের শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, স্কুলের কার্যক্রম আগের মতোই চলবে।

এ বিভাগের আরো খবর