আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশে বেগম খালেদা জিয়া অংশ নেবেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে তিনি যদি সমাবেশে আসেন, তাহলে তার মুক্তির আবেদনে দেয়া অসুস্থতার তথ্য মিথ্যা প্রমাণিত হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির বার ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, 'বিএনপি নেতারা এখনও দাবি করেন খালেদা জিয়াকে জামিন দিতে হবে। কিন্তু মুক্ত মানুষকে কীভাবে জামিন দেয়? দুই শর্তে খালেদা জিয়াকে জেল থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তাকে আবার জামিন কীভাবে দেবে?
‘বিএনপি নেতারা বলছেন, ১০ ডিসেম্বর বেগম খালেদা জিয়া বক্তব্য দেবেন। তার মুক্তির দুই শর্তে উনি রাজনীতি করতে পারবেন না- এমন কথা নেই। কিন্তু উনার যে আবেদন ছিল তাতে পরিষ্কারভাবে লেখা ছিল খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এত খারাপ যে তিনি চলাফেরা করতে পারেন না। তাকে দ্রুত মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়া যদি ১০ ডিসেম্বর সমাবেশে যান তাহলে তার মুক্তির আবেদনে যে তথ্য দেয়া হয়েছে, তা মিথ্যা প্রমাণিত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০০৭ ও ২০০৮ সালে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল, তখন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুটির বেশি দুর্নীতির মামলা হয়। তদন্ত করা হয়, এফআইআর হয়, চার্জশিটও হয়। প্রতিটি সময়ই খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। তারা শুধু নিম্ন আদালতে না, যেতে যেতে আপিল বিভাগেও গিয়েছেন। সেখান থেকে বলে দিয়েছে, বিচারিক আদালত হয়ে মামলা শেষ করতে হবে।
’বিচারিক আদালতে বিচার হয়েছে, সাজাও হয়েছে। একটি মামলায় পুনরায় আপিল করেছেন, সেটাতে আবার হাইকোর্ট সাজা বাড়িয়েছে। আরেকটিতে বিচারিক আদালত সাজা দিয়েছে। তারপর তিনি জেলে গেছেন। জেলে থাকাকালে তার পরিবার থেকে আবেদন করা হয়েছে, সেখানে বলা হয়- তার শরীর অত্যন্ত খারাপ। তাকে জেল থেকে ছাড়িয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে জেল থেকে ছাড়ার প্রার্থনা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মহানুভবতায়, ৪০৮ ধারায় দণ্ডাদেশ স্থগিত করেছেন। দুই শর্তে তাকে মুক্তি দিয়েছেন।’
অনুষ্ঠানে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম সারওয়ার, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন, সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান, এ কে এম শামীম ওসমান, লিয়াকত হোসেন খোকা, জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ ও জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।