রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের দুই দিন আগে থেকেই বন্ধ হয়ে গেছে বাস। তবে, সমাবেশের জন্য এই ধর্মঘটকে বাধা মনে করছেন না বিএনপি নেতারা। বরং এতে বিএনপি বাড়তি প্রচার পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন নেতারা।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, ‘সমাবেশের আগে ধর্মঘট দেখে অভ্যস্ত হয়ে গেছি আমরা। বরং ধর্মঘটের কারণে এই সমাবেশ মিডিয়ায় বাড়তি প্রচার পাচ্ছে।’
রাজশাহীর সমাবেশস্থল ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠ পরিদর্শন করে বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশস্থল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশের দখলে। সেখানে মঞ্চ নির্মাণের কাজ করছেন নির্ধারিত লোকজন। বিভিন্ন জেলা থেকে আগেভাগে চলে আসা বিএনপি নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন মাদ্রাসার পাশের ঈদগাহ মাঠে।
তাদের সঙ্গে দেখা করতে ও সমাবেশস্থল ঘুরে দেখতে বৃহস্পতিবার বিকেলে গিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু ও সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।
মিনু বলেন, ‘মানুষ আর কোনো বাধাই মানবে না। এই যে দেখছেন মানুষের জমায়েত। সময় যত বাড়বে নেতা-কর্মীদের ঢল নামবে। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে নেতা-কর্মীরা তিন দিন আগে থেকে এসে এখানে অপেক্ষা করছেন। তারা সমাবেশ সফল করেই ঘরে ফিরবে।’
তবে সমাবেশে আসা নেতা-কর্মীরা পথে পথে পুলিশি বাধার মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ করলেন রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।
তিনি বলেন, ‘রাজশাহী বিভাগের থানায় থানায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা করা হয়েছে। তারপরও রাজশাহীর পথে ছুটছেন তারা। তবে কিছু অতি উৎসাহী পুলিশ তাদের পথে পথে বাধা দিচ্ছে।
‘যত বাধাই অসুক না কেন, আমাদের সমাবেশ সফল হবে। মানুষ হেঁটে, সাইকেল, ভ্যান, ট্যাম্পু, রিকশায় চড়ে হলেও এই সমাবেশে আসবে।’
বাস ধর্মঘটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বাস ধর্মঘট নতুন কিছু না। বিএনপির সমাবেশ এলেই বাস ধর্মঘট হয়। আমাদের এটি দেখে অভ্যাস হয়ে গেছে।
‘এছাড়াও এটির মধ্যে বিএনপির জন্য পজেটিভ দিক আছে। এই যে ৩ তারিখ উপলক্ষে রাজশাহীতে বাস ধর্মঘট চলছে, এটি তো প্রচার হচ্ছে। মানুষ জানতে পারছে রাজশাহীতে বিএনপির সামাবেশ। বাস বন্ধ থাকায় আমাদের তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। বরং আমাদের প্রচার হচ্ছে- এটিই আমাদের লাভ।’