বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কুমিল্লায় বিএনপির সমাবেশে ৪ ধর্মগ্রন্থ, রাজশাহীতে কী?

  •    
  • ১ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৮:৫৪

কুমিল্লায় সমাবেশের আয়োজকদের দাবি, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত থেকেই তারা চার ধর্মগ্রন্থ পাঠের ব্যবস্থা রেখেছিলেন। আর রাজশাহীর বিএনপি নেতারা বলছেন, তাদের সমাবেশেও এটি রাখা যায় কি না, তা নিয়ে হাইকমান্ডের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, কুমিল্লায় সব ধর্মগ্রন্থ পাঠ সাধুবাদ পাওয়ার মতো ঘটনা হলেও এটি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে হয়নি।

বিএনপির চলমান বিভাগীয় সমাবেশের মধ্যে সবশেষ গত ২৬ নভেম্বর কুমিল্লায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির দেখা গেছে। ওই সমাবেশের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের পাশাপাশি গীতা ও ত্রিপিটকের বাণীও পাঠ করা হয়। ছিল বাইবেল পাঠের পরিকল্পনাও, তবে নির্ধারিত ব্যক্তির স্বজনের অসুস্থতার কারণে শেষ পর্যন্ত সেটি হয়নি।

এরপরে শনিবার রাজশাহীতে হচ্ছে বিএনপির সমাবেশ, আর ঢাকায় সমাবেশ হবে ১০ ডিসেম্বর। প্রশ্ন উঠেছে এই দুটি কর্মসূচিতেও কি সব ধর্মগ্রন্থ পাঠের ব্যবস্থা থাকবে?

কুমিল্লায় সমাবেশের আয়োজকদের দাবি, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত থেকেই তারা চার ধর্মগ্রন্থ পাঠের ব্যবস্থা রেখেছিলেন। আর রাজশাহী বিএনপির নেতারা বলছেন, তাদের সমাবেশেও এটি রাখা যায় কি না, তা নিয়ে হাইকমান্ডের সঙ্গে আলোচনা করবেন।

তবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, কুমিল্লায় সব ধর্মগ্রন্থ পাঠ সাধুবাদ পাওয়ার মতো ঘটনা হলেও এটি দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে হয়নি। পরবর্তী সমাবেশে এটা থাকবে কি না, তা নিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে আলোচনারও প্রয়োজন নেই।

কুমিল্লায় ২৬ নভেম্বর বেলা ১১টায় বিএনপির সমাবেশের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করা হয়। এরপরই পবিত্র গীতা ও ত্রিপিটক পাঠ করা হয়। তবে পরিবারের সদস্যের অসুস্থতাজনিত কারণে বাইবেল পাঠ করতে পারেননি পাস্টর ডা. লরেন্স তীমু বৈরাগী।

আরও পড়ুন: সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ কুমিল্লার সমাবেশ

এর আগে ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামে, ২২ অক্টোবর খুলনায়, ২৯ অক্টোবর রংপুরে, ৫ নভেম্বর বরিশালে, ১২ নভেম্বর ফরিদপুরে ও ১৯ নভেম্বর সিলেটে সমাবেশ করে বিএনপি। এর কোনোটিতেই পবিত্র কোরআন ছাড়া আর কোনো ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা হয়নি।

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম জানান, তাদের সমাবেশে সব ধর্মগ্রন্থ পাঠের আয়োজনের বিষয়টি ছিল দলীয় সিদ্ধান্ত।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটি আসলে আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। সেই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই আমরা আয়োজনটি করেছি।’

তবে বিষয়টি নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা একটি অসাম্প্রদায়িক দল। কুমিল্লায় এমনটা হয়েছে এটি সাধুবাদ জানানোর মতোই। আমার নিজের এলাকাতেও সব ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা হয়।

‘কুমিল্লায় যারা আয়োজক তারা নিজেরা এটা করেছেন। এর সঙ্গে দলীয় সিদ্ধান্তের কোনো সম্পর্ক নেই। আর সামনের সমাবেশগুলোতে এমনটা হবে কি না, তা দলীয়ভাবে আলোচনা করার মতো ইম্পর্ট্যান্ট বিষয় বলে আমি মনে করি না।’

দলের মহাসচিবের এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত বলতে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ডিরেক্ট এই নির্দেশনাগুলো আমাদের দেন। আমাদের সমাবেশের প্রস্তুতি সভাতে তিনি সরাসরি অনলাইনে যুক্ত হয়ে এ নির্দেশনাগুলো দিয়েছেন, আমরা সেভাবেই পালন করেছি।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্যও বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন।

স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটি অবশ্যই একটি ভালো উদ্যোগ বলে আমি মনে করি। যদিও এটি সত্য আমরা সব জায়গায় এমনটি করিনি।’

সামনের সমাবেশগুলোতে আবারও ঘটনাটি দেখা যাবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি আসলে এ বিষয়ে তেমন কিছু জানি না। তাই বলতে পারছি না।’

একই রকম বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত কি না, তা আমার জানা নেই। তবে এটি ভালো উদ্যোগ।’

অন্যদিকে প্রশ্ন শোনার পর বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

দুদিন বাদে শনিবার রাজশাহীতে সমাবেশ করতে যাচ্ছে বিএনপি। রাজশাহী বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সমাবেশের আয়োজক কমিটির সদস্য রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বিষয়টি নিয়ে দলের হাইকমান্ডের সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবায়নের আগ্রহ জানিয়েছেন।

প্রশ্ন শুনে তিনি নিউজবাংলা প্রতিবেদককে বলেন, ‘আপনি এটা বলে খুব ভালো করেছেন। কুমিল্লার বিষয়টি আমি জানতাম না। এটা চমৎকার উদ্যোগ। আমি অবশ্যই হাইকমান্ডের কাছে এই প্রস্তাব রাখব, এটি নিয়ে আলোচনা করব।’

এ বিভাগের আরো খবর