বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কেন্দ্র দখল, কুবি শিক্ষক সমিতির ভোট পণ্ড

  •    
  • ১ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৭:৪১

শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও নীল দলের সদস্য প্রফেসর ড. আবু তাহের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনতন্ত্র মোতাবেক তফসিল ঘোষণা করে। একটা পক্ষ তখন নির্বাচন করার ঘোষণা দেয়নি। আমরা ভোট দিতে এসে দেখি তারা কেন্দ্র দখল করে বসে আছে। তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়।’

ভোটকেন্দ্র দখল করে এক পক্ষের শিক্ষকদের বাধায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচন পণ্ড হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরুর কথা ছিল। এ সময় এক পক্ষের শিক্ষকরা ভোটকেন্দ্র দখল করে নির্বাচন কমিশনকে ভোট গ্রহণ শুরু করতে দেননি।

সকাল ৯টায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের সামনে গিয়ে দেখা যায় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে একটি গ্রুপের শিক্ষকদের বাগবিতণ্ডা চলছে। এ নিয়ে উত্তেজনাকর পরিবেশ তৈরি হয়।নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাংশের সাইদুল আল আমিন ও মো. মুর্শেদ রায়হানের অংশটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। অন্যদিকের কাজী ওমর সিদ্দিকী ও কাজী জাহিদ হাসানের পক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন ও ভোটের তারিখের বিরোধিতা করে আসছিল।

বৃহস্পতিবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, নির্বাচন বাতিল পক্ষের গ্রুপ কেন্দ্র দখল করে বসে আছে। ভোট গ্রহণের পক্ষে থাকা শিক্ষকরা কেন্দ্রের বাইরে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছেন। এ সময় শিক্ষকদের দুই গ্রুপের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনারদের বাগবিতণ্ডায় উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করে।

শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও নীল দলের সদস্য প্রফেসর ড. আবু তাহের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনতন্ত্র মোতাবেক তফসিল ঘোষণা করে। একটা পক্ষ তখন নির্বাচন করার ঘোষণা দেয়নি। আমরা ভোট দিতে এসে দেখি তারা কেন্দ্র দখল করে বসে আছে। তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়।’

অন্য গ্রুপের সদস্য শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. তোফায়েল হোসেন মজুমদার বলেন, ‘নির্বাচন শিক্ষক লাউঞ্জে হচ্ছে না, এ কথা আমাদের আগে জানানো হয়নি।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. জি এম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে শিক্ষক সমিতির বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদ। ২২ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। আগে নির্বাচন শিক্ষক লাউঞ্জে হতো। এবার সেখানে একই দিনে আরেকটি প্রোগ্রাম থাকায় রেজিস্ট্রার ও ট্রেজারার শিক্ষক লাউঞ্জে ভোট গ্রহণের অনুমতি দেননি।’

আমরা তিনটি স্থান থেকে বাছাই করে বুধবার রাতে এই স্থান বাছাই করি। এটা সব বিভাগের চেয়ারম্যানদের মেইল করে জানিয়ে দেয়া হয়। সবকিছু নিয়মমাফিক হওয়ার পরও একটি অংশ নির্বাচনের বিরোধিতা করার কারণ খুঁজে পাচ্ছি না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ভোটার বলেন, ‘বিদ্রোহী গ্রুপ ভোট গ্রহণে বাধা দেয়ার নানা কারণ রয়েছে। ভোটাররা বলছেন, বিদ্রোহীরা চায় নির্বাচন যেন ১২ ডিসেম্বরের পরে করা হয়। এ সময়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষক নিয়োগ দেবে বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষক নিয়োগ হলে সেসব শিক্ষকদের বিদ্রোহীরা দলে টানতে পারবে। তাই নানা ছুঁতোয় বিদ্রোহীরা ভোট হতে দেয়নি। বিদ্রোহীরা এসব করেছে উপাচার্যের মদতে।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এফ এম আবদুল মঈন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষক নির্বাচনে কোনোভাবেই পক্ষপাতিত্ব করতে পারে না। এমনকি কাউকে মদত দেয় নাই। কেউ যদি এসব কথা বলে থাকেন, সেটা প্রচণ্ড রকম ভুল।’

ভিসি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের বিষয়ে আমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি। উল্টো আমি দুই পক্ষকে ডেকে বলেছি, আপনারা নির্বাচন করেন সমস্যা নেই। তবে এই নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম যেন নষ্ট না হয়, সেদিকটা সবাই খেয়াল রাখবেন।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে ভোটার ২৬৪ জন।

এ বিভাগের আরো খবর