বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘গায়েবি’ মামলা বন্ধে আইজিপির কাছে বিএনপি

  •    
  • ১ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৭:১১

ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর বরকত উল্লা বুলু সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশে একের পর এক গায়েবি মামলা হচ্ছে। পুলিশ ও আওয়ামী লীগের লোকজন বোমা ফাটিয়ে আমাদের লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এসব মামলার উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারে মহাসচিবের পক্ষ থেকে একটি চিঠি আমরা আইজিপিকে পৌঁছে দিয়েছি।’

নতুন করে পুলিশের দায়ের করা ‘গায়েবি’ মামলাগুলো প্রত্যাহারে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) চিঠি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লা বুলুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার দুপুরে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের এই চিঠি পৌঁছে দেন। এ সময় তারা পুলিশের দায়ের করা বিভিন্ন মামলার বিষয়াদি নিয়ে কথা বলেন।

প্রতিনিধিদলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি ও আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

আইজিপির সঙ্গে প্রতিনিধিদের বৈঠকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার ফারুক আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর বরকত উল্লা বুলু সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশে একের পর এক গায়েবি মামলা হচ্ছে। পুলিশ ও আওয়ামী লীগের লোকজন বোমা ফাটিয়ে আমাদের লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এসব মামলার উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারে মহাসচিবের পক্ষ থেকে একটি চিঠি আমরা আইজিপিকে পৌঁছে দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আইজিপি আমাদের সবার বক্তব্য শুনেছেন। আমরা বিভিন্ন জায়গায় গায়েবি মামলা, নেতা-কর্মীদের হয়রানি-গ্রেপ্তার ও বাড়ি বাড়ি তল্লাশির মতো ঘটনাগুলোর প্রতিকার চেয়েছি। উনি এগুলো খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।’

বরকত উল্লা বুলু বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) হাইকোর্ট থেকে আমাদের সাড়ে চার শ নেতা-কর্মী জামিন নেয়ার পর হাইকোর্টের গেট থেকে ৫০ জনকে তাদের ল’ইয়ার্স সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

‘নরসিংদীতে একটা গায়েবি মামলা দেয়া হয়েছে। ওই মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে- চলো চলো, ঢাকায় চলো, বেগম খালেদা জিয়া জিন্দাবাদ, তারেক রহমান জিন্দাবাদ বলে আসামিরা ৫-৬টি ককটেল ফাটিয়েছে। এ জন্য এই মামলা দেয়া হয়েছে।

'আমরা বলেছি যে আমাদের লোকজনকে ঢাকায় আসার জন্য দাওয়াত দিতে গিয়ে আমরাই বোমা ফাটাব কেন? তাহলে তো মানুষ আতঙ্কিত হবে, তারা সমাবেশে আসবে না।

‘এভাবে আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে।’

মহাসচিবের চিঠির সঙ্গে গায়েবি উল্লেখ করে ১৬৯টি মামলার তালিকা দেয়া হয়েছে। ২২ আগস্ট থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত দায়ের করা এসব মামলায় এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা ৬ হাজার ৭২৩ জন। অজ্ঞাত আসামির সংখ্যা ১৫ হাজার ৫০ জন এবং ৫৫৯ জন গ্রেপ্তারের তালিকাও রয়েছে।

১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ আয়োজন নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে বুলু বলেন, ‘সমাবেশ নিয়ে ওনারা কথা বলেছেন। আমরা বলিনি। আমরা বলেছি যে এটা (সমাবেশ) পল্টনে করতে চাই।

‘সমাবেশের স্থান বিষয়ে আমরা দুটি চিঠি ওনাদের দিয়েছি। একটা ১৩ নভেম্বর, আরেকটি ২০ নভেম্বর। দুটি চিঠিতেই আমরা সমাবেশের স্থান হিসেবে নয়াপল্টন চেয়েছি। আমরা কোনো দ্বিতীয় স্থান চাইনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওনারা বলেছেন যে আপনারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করেন, আমরা সব সহযোগিতা করব। আমরা বলেছি যে এটা আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় নয়। আমরা যে বিষয়টি নিয়ে এসেছি তার সঙ্গে সমাবেশের স্থান নির্ধারণ সংশ্লিষ্ট নয়। এটা আমাদের এখতিয়ারে নেই। আমাদের স্থায়ী কমিটি ও মহাসচিব আছেন, তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন।’

প্রসঙ্গত, ডিএমপি মঙ্গলবার এক চিঠিতে ২৬ শর্তে বিএনপিকে ১০ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়।

পরে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, নয়াপল্টনে বিভাগীয় সমাবেশ করার জন্য অনুমতি চেয়ে ডিএমপিতে আবেদন করা হয়েছিল। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান তারা চায়নি।

ওই দিন দলের এক অনুষ্ঠানে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকে সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, যে জায়গায় আপনারা (সরকার) অনুমতি দিতে চান সেই জায়গায় আমরা কনফোর্টেবল নই। চারদিকে দেয়াল দিয়ে ঘেরা, যাওয়ার রাস্তা নেই। একটি মাত্র গেট, যে গেট দিয়ে এক-দুইজন করে মানুষ ঢুকতে পারে, বেরোতে পারে না।

‘আমরা পরিষ্কার করে আবার বলছি- আপনাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করুন। জনগণের ভাষা বুঝতে পেরে নয়াপল্টনে আমাদের ১০ তারিখ শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার সব ব্যবস্থা নিন।’

এ বিভাগের আরো খবর