বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২৯ বছর পর ৩ আসামির যাবজ্জীবন

  •    
  • ১ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৫:৫৬

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর গিয়াসউদ্দিন জানান, এ হত্যা মামলায় মোট আসামি ছিলেন ২৫ জন। তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়, মামলার বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেয়া হয়।

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার রায়লক্ষ্মীপুর গ্রামের কৃষক সুনীল কুমার দাসকে হত্যার দায়ে দুই ভাইসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাদের প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।

২৯ বছর পর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মাসুদ আলী বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে জনাকীর্ণ আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন আলমডাঙ্গার রায়লক্ষ্মীপুর গ্রামের কালু ফকিরের ছেলে সুলতান হোসেন, লালু মণ্ডলের ছেলে লিয়াকত আলী ওরফে ন্যাকো ও তার ভাই শওকত আলী।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে ১৯৯৩ সালের ৯ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে দণ্ডিত আসামিরাসহ অন্তত ১৫-১৬ ব্যক্তি সুনীলদের বাড়িতে গিয়ে সুনীলের গায়ে থাকা চাদর দিয়ে দু’হাত বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনাস্থলেই মারা যায় সুনীল। এ ঘটনার পরদিন সুনীলের ভাই অনিল কুমার দণ্ডিত আসামিসহ অজ্ঞাত আসামিদের নামে থানায় এজাহার করেন।

মামলায় মোট ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আসামি সুলতান হোসেন, লিয়াকত আলী ও শওকত আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

একই সঙ্গে দণ্ড পাওয়া সবাইকে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়। অনাদায়ে আরও ছয় মাসের দণ্ডাদেশ দেয়া হয়।

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর গিয়াসউদ্দিন জানান, এ হত্যা মামলায় মোট আসামি ছিলেন ২৫ জন। তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়, মামলার বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেয়া হয়।

এ বিভাগের আরো খবর