বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইসলামী ব্যাংকে ‘ভয়ংকর নভেম্বর’: তদন্ত চেয়ে দুই সংস্থাকে চিঠি

  •    
  • ১ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৩:২৯

চিঠিতে বলা হয়, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করছে। এই ধরনের অসাধু লেনদেন আর্থিক ব্যবস্থাপনায় অধিকতর অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের গ্রাহকসহ জনগণ ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সমূহ আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।’

ইসলামী ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় তদন্ত চেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবীসহ পাঁচ গ্রাহক।

বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বরাবর এ চিঠি পাঠানো হয়।

চিঠি দানকারী পাঁচজন হলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির, আব্দুল্লাহ সাদিক, মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ এবং দুই গ্রাহক যায়েদ বিন আমজাদ ও শায়খুল ইসলাম ইমরান।

গত ২৪ নভেম্বর ‘ইসলামী ব্যাংকে ভয়ংকর নভেম্বর’ শিরোনামের প্রতিবেদনে প্রথম আলো জানায়, চলতি বছর আটটি প্রতিষ্ঠানের নামে ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা তুলে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা তুলে নেয়া হয় ১ থেকে ১৭ নভেম্বরের মধ্যে। এ কারণে ব্যাংকটির কর্মকর্তারা চলতি মাসকে ‘ভয়ংকর নভেম্বর’ বলছেন।

সেই সঙ্গে ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী, এস আলম গ্রুপ একাই ৩০ হাজার কোটি টাকা নিয়মবহির্ভূতভাবে লেনদেন করেছে।

এসব ঋণের বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে চিঠিতে।

চিঠিতে বলা হয়, ‘আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীরা ইসলামী ব্যাংকের নিয়মিত গ্রাহক। ইসলামী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় আমাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আমরা সাধ্যমতো ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করি। সূত্রে উল্লেখিত পত্রিকার রিপোর্টে ইসলামী ব্যাংকের নিয়মবহির্ভূত লেনদেন প্রতিভাত হয়েছে। জামানত ছাড়া ঋণপ্রদান, নামসর্বস্ব কোম্পানিকে ঋণ প্রদানের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উঠে এসেছে। ব্যাংকের কর্মচারীসহ প্রত্যক্ষদর্শী, ব্যবসায়ী ও সুধীজনের ভাষ্য মতে, রিপোর্টে উল্লেখিত সংখ্যার চেয়ে প্রকৃত অসাধু লেনদেনের পরিমাণ আরও অনেক গুণ বেশি।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘স্বীকৃত মতে, বর্তমানে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করছে। এই ধরনের অসাধু লেনদেন আর্থিক ব্যবস্থাপনায় অধিকতর অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের গ্রাহকসহ জনগণ ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সমূহ আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমনকি দেশের সর্বোচ্চ আদালত অতীতের ঘটনাগুলো নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছে।’

বিষয়গুলো আমলে নিয়ে অনুসন্ধান করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে। একই সঙ্গে তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নেয়ারও অনুরোধ করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর