পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ আইনে স্ত্রী ইসরাত জাহানের করা মামলায় জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার আল আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ পিছিয়ে আগামী ২ জানুয়ারি ঠিক করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আতাউল্লাহর আদালতে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য দিন ঠিক ছিল। কিন্তু এদিন তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন জমা দিতে না পারায় নতুন এ দিন ঠিক করেন বিচারক।
গত ২ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় আল আমিনের বিরুদ্ধে স্ত্রী ইসরাত জাহানের করা অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নথিভুক্ত করা হয়।
ইশরাত জাহানের অভিযোগ তাকে অত্যাচার করে বাসা থেকে বের করে দেন আল আমিন। দীর্ঘদিন ধরে তার ওপর এমন অত্যাচার চালাচ্ছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আল আমিন একটা মেয়ের সঙ্গে থাকে। এ জন্য তাকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছেন।’
মামলায় ইসরাত তার দুই সন্তানসহ বাসায় শান্তিপূর্ণভাবে থাকার অধিকারসহ মাসিক ভরণপোষণ দাবি করেছেন। জীবন ধারণের জন্য ৪০ হাজার, দুই সন্তানের ভরণ-পোষণ ও ইংলিশ মিডিয়ামে লেখাপড়া বাবদ মাসে ৬০ হাজার টাকা আল-আমিনের কাছে পাওয়ার হকদার বলে দাবি করেন তিনি।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইসরাত জাহান ও আল আমিনের বিয়ে হয়। তাদের দুটি ছেলে রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে আল আমিন স্ত্রী ও সন্তানদের খোঁজখবর নেন না এবং ভরণপোষণও দেন না।
এতে আরও বলা হয়, গত ২৫ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে আল আমিন বাসায় এসে স্ত্রীর কাছে যৌতুকের জন্য ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। ইসরাত টাকা দিতে অস্বীকার করলে আল আমিন তাকে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন, সংসার করবেন না বলেও জানান।
ইসরাত তখন ৯৯৯ নম্বরে কল করে সাহায্য চাইলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ইসরাত জাহান। এ ঘটনায় ১ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় মামলাও হয়।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, সর্বশেষ গত ৩ সেপ্টেম্বর আল আমিন তার মায়ের মাধ্যমে জানান, ইসরাতের সঙ্গে সংসার করবেন না; সন্তানদের ভরণপোষণও দেবেন না। প্রয়োজনে বাসা থেকে বের করে দিয়ে স্ত্রীকে তালাক দেবেন।
বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের কারণে আল আমিন এমনটি করেছেন বলে মামলার বিবরণে দাবি করেন ইসরাত জাহান।