কুড়িগ্রাম সদরে শয়নকক্ষ থেকে গৃহবধূর গলা কাটা দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলার পলাশবাড়ী পশ্চিমপাড়া গ্রাম থেকে বুধবার সন্ধ্যায় ৩৫ বছর বয়সী শাহেরা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার পর থেকে শাহেরার স্বামী মোখলেছুর রহমান পলাতক।
সদরের বেলগাছা ইউনিয়নের পলাশবাড়ী পশ্চিমপাড়া গ্রামের প্রয়াত আবদুস ছাত্তারের মেয়ে শাহেরা। তার স্বামী মোখলেছুর রহমান পার্শ্ববর্তী কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের ডোমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
মোখলেছুর শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। ওই দম্পতির দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
গৃহবধূর ছেলে শামীম জানান, তিনি সকালে কাজের জন্য বাইরে বের হন। কাজ শেষে সন্ধ্যায় ফিরে ঘর তালাবদ্ধ দেখতে পান। পরে তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে লেপ দিয়ে ঢেকে রাখা অবস্থায় মায়ের গলা কাটা দেহ দেখতে পান।
তিনি আরও জানান, তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। পরে তাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। এরই জেরে শাহেরাকে হত্যা করে স্বামী পালিয়েছেন।
শাহেরার মা ফাতেমা বেগম বলেন, ‘আমার জামাই (জামাতা) মেয়েকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। আমি সারা দিন বাইরে ছিলাম।
‘খবর শুনে এসে মেয়ের গলা কাটা মরদেহ দেখতে পাই। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।’
কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে নিজেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের কারণে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
‘তদন্ত চলছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।’