অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সোনালী ব্যাংকের বেনাপোল শাখার ব্যবস্থাপকের বদলির পর এবার ৩ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বুধবার তাদের বরখাস্তের আদেশ দিয়েছে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
এই কর্মকর্তারা হলেন প্রিন্সিপাল অফিসার মহিদুল ইসলাম, সাদেক আলী ও অফিসার (ক্যাশ) দবির হোসেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনালী ব্যাংক বেনাপোল শাখার বর্তমান ব্যবস্থাপক সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মহসিন আলী।
তিনি জানান, এ শাখার তিন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বরখাস্তের তথ্য বুধবার জানানো হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে তাদের অনিয়ম এবং দুর্নীতি তদন্তে ধরা পড়ায় কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মাঠপর্যায়ে তদন্তের জন্য সোনালী ব্যাংকের একটি দল কাজ করছে।
তিনি আরও জানান, গেল সপ্তাহেই যশোরের প্রধান শাখায় বদলি করা হয়েছে বেনাপোল শাখা ব্যবস্থাপক প্রিন্সিপাল অফিসার আক্তার ফারুককে।
ব্যাংকসূত্রে জানা গেছে, খালিদ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি একাধিক এলসির মাধ্যমে ভারত থেকে কয়েক কোটি টাকার ফল আমদানি করে। এসব পণ্যের চালানগুলো খালাস নিতে আমদানিকারকের পক্ষে কাস্টম হাউসে বিল অফ এন্ট্রি জমা দেয় বেনাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্ট আলেয়া এন্টারপ্রাইজ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মো. শান্ত।
কিন্তু তারা আমদানিপণ্যের বিপরীতে আসা ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা শুল্ক পরিশোধ না করেই সোনালী ব্যাংক বেনাপোল শাখার ছাড়পত্র (রিলিজ অর্ডার) নিয়ে আমদানিকরা মালামাল খালাস করে নিয়ে যায়। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে এলে তাদের একটি দল গেল সপ্তাহে বেনাপোল সোনালী ব্যাংকে অভিযান চালায়।
সোনালী ব্যাংক যশোর অঞ্চলের উপমহাব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমদানি করা পণ্যের শুল্ক পরিশোধ না করে চালানের কাগজপত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে একটি প্রতিষ্ঠান। পরে আমরা শুল্ক আদায় করেই ছাড়পত্র দিয়েছি। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।
‘তদন্তের স্বার্থে শাখা ব্যবস্থাপক আক্তার ফারুককে গত সপ্তাহে যশোরে বদলি করা হয়েছে। আজ বুধবার আরও তিন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্তে যারা দোষী হবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’