ঢাকার নিম্ন আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়ার মামলায় আসামি ঈদী আমিনের তিন আশ্রয়দাতার তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম শাকিল আহম্মদের আদালতে তাদের হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।
শুনানি শেষে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।
রিমান্ড পাওয়া তিনজন হলেন- খোতেজা আক্তার লিপি, নাসির মিয়া ও তানভীর হোসেন।
এর আগে গত ২৭ নভেম্বর আসামি ঈদী আমিন আইনজীবীর মাধ্যমে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর বিচারক তাকে চারদিনের রিমান্ডে পাঠান।
ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে মোহাম্মদপুর থানায় করা একটি মামলার শুনানি শেষে গত ২০ নভেম্বর ১২ আসামিকে আদালত থেকে হাজতখানায় নেয়ার পথে দুজনকে ছিনিয়ে নেয় সহযোগীরা। মামলার শুনানি শেষে জামিনে থাকা দুই আসামি ঈদী আমিন ও মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি আদালত থেকে বের হয়ে যান।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় ২০ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা করেন পুলিশ পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন আকন্দ। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়। এই মামলায় জামিন পাওয়া দুজনকেও আসামি করা হয়েছে।
সিটিটিসি ইউনিটের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কোর্টের শুনানি শেষে প্রথমে চারজনকে নিচে নামিয়ে আনা হয়। দুটি হাতকড়া দিয়ে দুজনকে আটকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বাকি আসামিরা তখন উপরে ছিলেন।
‘চারজনের মধ্যে মইনুল হাসান ও আবু সিদ্দিককে জঙ্গিরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তবে মো. আরাফাত ও মো. সবুরকে নিতে পারেনি। এই কাজে জঙ্গিরা পিপার স্প্রে ব্যবহার করে। এতে একজন সিকিউরিটি গার্ড, একজন পুলিশ সদস্যসহ কয়েকজন সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হন।’