দেশের সব উপজেলায় সংস্কৃতিকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণের আগে আগামী অর্থবছর থেকেই শিল্পকলা একাডেমির মাধ্যমে সংস্কৃতিকেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু করা হবে।’
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাঁথিয়া থিয়েটারের লোকনাট্য উৎসবে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মৌলবাদের উত্থান ও আর্থ সামাজিক বাস্তবতায় আবহমান বাঙালি সংস্কৃতি চর্চায় ছেদ পড়েছে বলে মন্তব্য করেন কে এম খালিদ।
তিনি বলেন, ‘বাউল গান, পথ ও মঞ্চ নাটক, যাত্রাপালা বাঙালি সংস্কৃতির অনুষঙ্গ। এক সময় প্রতিটি গ্রামে ও পাড়ায় পাড়ায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে এসবের চর্চা হতো, উৎসব আয়োজন হতো। মৌলবাদী তৎপরতায় এখন তা অনেক কমে গেছে। সরকার পৃষ্ঠপোষকতা করে সে উৎসবগুলোকে আবারও ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।’
নাট্যচর্চার প্রসারে গ্রাম থিয়েটারের প্রশংসা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রাম থিয়েটার নাটকের মাধ্যমে সামাজিক বাস্তবতা তুলে ধরে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় গ্রাম পর্যায়ে নাট্যচর্চার পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে।’
তিন দিনের লোকনাট্য উৎসব উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু।
সাঁথিয়া থিয়েটারের সভাপতি আব্দুদ দাইন সরকার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘বাঙালি সংস্কৃতির চেতনা থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে এদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। পাকিস্তানি ভাবধারার অনুসারী বিএনপি জামায়াত সব সময় বাঙালি সংস্কৃতি চর্চায় বাধা দিয়েছে। সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমেই তাদের অশুভ তৎপরতার জবাব দিতে হবে।’
নাসির উদ্দিন ইউসুফ বলেন, ‘বাংলাদেশের নাটকের একটি স্বকীয় ও স্বতন্ত্র ধারা রয়েছে। উপনিবেশিক সংস্কৃতির প্রভাব আমাদের নাটকে আছে এটি সঠিক নয়। আমাদের উচিৎ নিজস্ব ঐতিহ্য ও শেকড়ের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে সংস্কৃতিকে আধুনিক করে তোলা। গ্রাম থিয়েটার সে লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাঁথিয়া থিয়েটার ৪০ বছর ধরে গ্রাম পর্যায়ে নাট্য চর্চায় কাজ করছে। মৌলবাদীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে তারা সাহসিকতা নিয়ে সংগঠন ধরে রেখেছে।’