বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এনআইডিসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতির ঘোষণা ইসি কর্মকর্তাদের

  •    
  • ২৯ নভেম্বর, ২০২২ ১৮:২৩

দাবি আদায়ে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে দৃশ্যমান পদক্ষেপ না এলে পরদিন থেকে কালোব্যাজ ধারণ এবং ৮ ডিসেম্বর থেকে অর্ধদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। তারপরও কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

জাতীয় পরিচয়পত্রের কর্তৃত্ব ধরে রাখাসহ বেশকিছু দাবিতে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ‌এ বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না এলে পরদিন থেকে কালোব্যাজ ধারণ এবং ৮ ডিসেম্বর থেকে অর্ধদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সংগঠনটি।

মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রথমে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব জাহাংগীর আলম ও পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে জমা দেয়া এক চিঠিতে সংগঠনটির পক্ষে থেকে এমন কর্মসূচির কথা জানানো হয়।

ইসি সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ২৬ নভেম্বর একটি মিটিং করেছে। সেই মিটিংয়ে নেয়া সিদ্ধান্তগুলো তারা আমাদেরকে জানিয়েছে। পর্যায়ক্রমে তারা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং বিভাগকে এসব সিদ্ধান্ত জানাবে।’

তিনি বলেন, ‘অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন বেশকিছু দাবি তুলে ধরেছে। প্রথম হচ্ছে, কমিশনে তাদের শূন্য পদগুলো পূরণ করা। এক্ষেত্রে আমরা মনে করি, যারা যোগ্যতা অর্জন করবেন তাদেরকে চাকরি বিধি অনুযায়ী শূন্য পদগুলোতে পদোন্নতি প্রদান এবং শূন্য পদগুলো পূরণ করাটা যৌক্তিক হবে। আমরা অবশ্যই কমিশনের মাধ্যমে তাদেরকে পদোন্নতি এবং শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ নেব।’

জাহাংগীর আলম বলেন, ‘দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে ইভিএম-এর লজিস্টিক ইত্যাদি বিষয় দৃশ্যমান করা। এজন্য একটি প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। সেটি একনেকে উঠবে। তারা অনুমোদন দিলে তখন এ বিষয়ে বলা যাবে।

‘একনেকে অনুমোদনের আগে কোনো কিছু বলা যৌক্তিক হবে না। এটা আমাদেরই প্রকল্প। যখন একনেকে অনুমোদন হবে তখনই আমরা বলতে পারব যে আমাদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে তারা কী দিল আর কী দিল না।’

সাংগঠনিক কাঠামোর প্রসঙ্গ টেনে ইসি সচিব বলেন, ‘অনেক পদ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সেটা সাংগঠনিক কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এটির কার্যক্রম চলমান। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে যে কমিটি আছে সেখানে বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। এরপর এটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যাবে। মন্ত্রণালয়ের ভেটিং সাপেক্ষে এটি যাবে অর্থ মন্ত্রণালয়ে। অর্থ মন্ত্রণালয় মিটিং করে সামারি অ্যাপ্রুভ করলে পদগুলোর অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। এটি চলমান প্রক্রিয়া এবং সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।’

এনআইডির বিষয়টি সরকারি সিদ্ধান্ত জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘ইতোমধ্যে কমিশন তার বক্তব্য স্পষ্ট করেছে। সরকার যেটা বাস্তবায়ন করবে আমাদেরও সেটাই করতে হবে। এসোসিয়েশনের কর্মকর্তারাও এর সঙ্গে একমত।’

দাবি না মানলে কালো বেশ ধারণসহ নানা কর্মসূচি দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন। তাদের বেঁধে দেয়া সময়সীমা রোববারের মধ্যে দাবিগুলো পূরণ করা সম্ভব কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘এটা যারা দাবি করেছে তারাই বলতে পারবে। আমি আগেই বলেছি এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। ইভিএম-এর বিষয়টিও একনেক হয়ে আসতে হবে। রোববারের মধ্যে তা কীভাবে সম্ভব? ‘অ্যাসোসিয়েশন তাদের মিটিংয়ে নেয়া সিদ্ধান্তগুলো আমাদেরকে অবহিত করেছে। এখন তাদের সিদ্ধান্তগুলো যৌক্তিক কিনা এটা আমি কীভাবে বলব?

‘পদগুলো যখন যেভাবে সৃষ্টি হয়েছে সেখানে বলা আছে, যতক্ষণ পর্যন্ত যোগ্য কর্মকর্তা না পাবেন ততক্ষণ পর্যন্ত প্রেষণে থাকবে। সুতরাং পথ সৃজনের আগে এর বাইরে তো কিছু করা হচ্ছে না।’

সচিব জাহাংগীর বলেন, ‘আমার কাজই হচ্ছে তাদের যৌক্তিক বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট জায়গায় উপস্থাপন করা এবং বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা। সে ক্ষেত্রে তাদের জন্য আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’ কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন কমিশনের কর্মকাণ্ডে অচলাবস্থার সৃষ্টি হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেখা যাক কী হয়।’

এ বিভাগের আরো খবর