বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইতিহাস স্বৈরাচারীর রক্তচক্ষু পরোয়া করে না: কাদের

  •    
  • ২৯ নভেম্বর, ২০২২ ১৪:৩৭

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুই কন্যা শেখ হাসিনা আর শেখ রেহানাকে এতিম করেছে যে বুলেট। সে বুলেট বেগম খালেদা জিয়াকেও বিধবা করেছে। বিশ্বাসঘাতকদের ইতিহাস ক্ষমা করে না। ইতিহাস কোনো স্বৈরাচারী প্রভুর রক্তচক্ষু পরোয়া করে না। ইতিহাসের আদালতের বিচারে কেউই রক্ষা পাবে না।’

বিশ্বাসঘাতকদের ইতিহাস কখনও ক্ষমা করেনি। ইতিহাস কোনো স্বৈরাচারী প্রভুর রক্তচক্ষু পরোয়া করে না। ইতিহাসের আদালতের বিচারে কেউই রক্ষা পায় না, এমনটি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মাঠে আয়োজিত নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে জাতির দুর্ভাগ্য ১৯৭৫ সালে চোখের পলকে ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। খন্দকার মোশতাক পলাশীর মীর জাফর। পলাশীর সেনাপতির মতো বাংলাদেশের সেনাপতি জিয়াউর রহমান জড়িত না থাকলে আরেকটি খুনি চক্র তাকে হত্যা করার দুঃসাহস পেত বলে আমি মনে করি না। ইতিহাস বড়ই নির্মম। বাঁচতে পারেনি জেনারেল জিয়াউর রহমান।

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুই কন্যা শেখ হাসিনা আর শেখ রেহানাকে এতিম করেছে যে বুলেট। সে বুলেট বেগম খালেদা জিয়াকেও বিধবা করেছে। বিশ্বাসঘাতকদের ইতিহাস ক্ষমা করে না। ইতিহাস কোনো স্বৈরাচারী প্রভুর রক্তচক্ষু পরোয়া করে না। ইতিহাসের আদালতের বিচারে কেউই রক্ষা পাবে না,’ যোগ করেন তিনি।

এ সময় তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘অনেকেরই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়ে গেছে। বিদেশে যারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে একদিন তাদের যে দণ্ড সে দণ্ডও কার্যকর করা হবে ইনশা আল্লাহ।’

বিএনপির মসহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘ফখরুল সাহেবরা আজকে অপপ্রচার করছে। তারা ষড়যন্ত্র করবে আর আমরা কাজ করে যাব। আমরা গণমানুষের পাশে থাকব।’

সেতুমন্ত্রী আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দশে করে বলেন, মুজিব কোট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায় না। মুজিব কোট খুনি খন্দকার মোশতাকও পরেছে। '৭৫-এর সেই বিশ্বাসঘাতকরা। মুজিব সৈনিক হতে হলে মুজিবের আদর্শ ধারণ করতে হবে। আমার বার্তা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা বঙ্গবন্ধুর কন্যার বার্তা। আওয়ামী লীগকে আরও ঐক্যবন্ধ আরও সংগঠিত আরও সুশৃঙ্খল করতে হবে। নোয়াখালীর আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর দুর্গ ছিল। এখন এটাকে শেখ হাসিনার শক্তিশালী দুর্গে পরিণত করতে হবে।’

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতি একদিনের ব্যাপার নয়। এক বছর বা কয়েক বছরেরও ব্যাপার নয়। নোয়াখালীতে আমি আর বিভেদ দেখতে চাই না। ক্ষমা করার উদারতা আমার আছে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এ দেশ এতদিনেও স্বাধীন হতো কি না, সন্দেহ আছে। মহান আল্লাহপাক বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্যই বঙ্গবন্ধুকে জন্ম দিয়ে ছিলেন। আর মুক্তির জন্য জন্ম দিয়েছেন শেখ হাসিনাকে। একজন স্বাধীনতার জন্য আরেকজন মুক্তির জন্য। আমাদের মুক্তির সংগ্রামের অসীম সাহসী কান্ডারি শেখ হাসিনা।

নোয়াখালী পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর সভাপতিত্বে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান বাবুলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনম সেলিম, যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন শাহীন ও শহীদুল্লাহ খান সোহেল।

এ বিভাগের আরো খবর