বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বেসিক ব্যাংকের অর্থ লোপাট নিয়ে ৩ মাসের মধ্যে প্রতিবেদনের নির্দেশ

  •    
  • ২৯ নভেম্বর, ২০২২ ১৩:০৩

রায়ের পরে আইনজীবী এস এম আবুল হোসেন বলেন, ‘রায়ের কপি পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে সব মামলার তদন্ত শেষ করে চার্জশিট জমার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে আমাদের জামিন আবেদনটি খারিজ করে দেয়া হয়েছে।’

বেসিক ব্যাংকের দুই হাজার ৭৭ কোটি টাকা দুর্নীতি মামলায় তিন মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এই সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ব্যাংকটির অর্থপাচারের মামলার আসামি মোহাম্মদ আলীর জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান, জামিন আবেদনকারী মোহাম্মদ আলীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এসএম আবুল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, তার সঙ্গে ছিলেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।

রায়ের পরে আইনজীবী এস এম আবুল হোসেন বলেন, ‘রায়ের কপি পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে সব মামলার তদন্ত শেষ করে চার্জশিট জমার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে আমাদের জামিন আবেদনটি খারিজ করে দেয়া হয়েছে।’

বেসিক ব্যাংকের দুই হাজার ৭৭ কোটি আত্মসাতের ঘটনায় আলামত চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন মালয়েশিয়ায় অনুরোধ পাঠিয়েছে-এ তথ্য জানিয়ে সোমবার হাইকোর্টে প্রতিবেদন দেয় দুদক। দুদকের সেই প্রতিবেদন জমার পর শুনানি হয়।

ব্যাংকটির ৫৬ মামলার মধ্যে ১২ মামলার আাসমি এর সাবেক কর্মকর্তা মোহম্মদ আলী। তিনি জামিন চেয়ে আবেদন করলে তার সেই জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে কেন তাকে জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে আদালত। এ রুলের দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত রুলটি মঙ্গলবার খারিজ করে দেয়।

এ মামলায় ৮২ জন ঋণ গ্রহীতা ছাড়াও বেসিক ব্যাংকের তৎকালীন এমডি কাজী ফকরুল ইসলাম, ডিএমডি ফজলুস সোবহান, সাবেক ডিএমডি শেখ মঞ্জুর মোরশেদ, জিএম এ. মোনায়েম খান, জিএম মোহাম্মদ আলী ওরফে মোহাম্মদ আলী চৌধুরীসহ ব্যাংকের ২৭ জন কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে।

বেসিক ব্যাংকের গুলশান শাখা, প্রিন্সিপাল/প্রধান শাখা, দিলকুশা শাখা এবং শান্তিনগর শাখাসহ মোট ৪টি শাখার ঋণ কেলেঙ্কারির বিষয়ে গুলশান থানায় ২৩ টি, মতিঝিল থানায় ১২টি এবং পল্টন থানায় ২১টিসহ মোট ৫৬ টি মামলা করা হয়।

মামলার আসামিদের মধ্যে বেসিক ব্যাংক কর্মকর্তা ২৭ জন, ব্যবসায়ী ৮২ জন এবং বেসরকারি সার্ভেয়ার ১১ জনসহ মোট ১২০ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আত্মসমর্পণ করেছেন একজন।

এ বিভাগের আরো খবর