বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘জনগণ সরকারকে বার্তা দিয়ে দিয়েছে যে তারা এই সরকারকে চায় না। তারা অভ্যুত্থান সৃষ্টির জন্য প্রস্তুত। ইনশা আল্লাহ তা হবে। আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন করছি। সামনে সরকার পতনের আন্দোলন আসছে।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডা. মিলন দিবস উপলক্ষে ‘শহীদ ডা. মিলন-গণতন্ত্রের মুক্তি এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আজ দেশে গণতন্ত্র নেই। বিএনপির ছয় শতাধিক নেতা-কর্মী গুমের শিকার। এক হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে রাখা হয়েছে।
‘জনবিচ্ছিন্ন এই সরকারের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তারা টাকা লুট ও পাচার করে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের মুখে নিয়ে গেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি লাগামহীন। ৪০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে।
‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে এসব সংকটের সমাধান হবে না। যারা অর্থনীতি ধ্বংস করেছে তারা এর পুনর্গঠন করতে পারবে না। দেশে বিচার ব্যবস্থাও সরকারের নিয়ন্ত্রণে।’
আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার পেছনে অনেক রক্ত দিতে হয়েছে। সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া।
'খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার হয়েছিল। কিন্তু এখন মানুষ ভোট দিতে পারে না। প্রয়োজনে কয়েক হাজার মানুষ রক্ত দেবে। তবু আর ভোটারবিহীন নির্বাচন হতে দেব না।’
সভাপতির বক্তব্যে ডা. মিলনের সহপাঠী অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ বলেন, ‘ডা. মিলন স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে জীবন দিয়েছেন। তিনি সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু তার স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছে স্বৈরাচার এরশাদের পুলিশ। আজও আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আমাদের তেমন আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আসুন এই শপথ করি- তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ব।
আলোচনা সভার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ড্যাব মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালাম।
ডা. মেহেদী হাসান ও ডা. মো. ফখরুজ্জামান ফখরুলের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহপ্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ড্যাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. শাহিদুর রহমান, সহসভাপতি ডা. মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস ডাম্বেল, ডা. পরিমল চন্দ্র মল্লিক, কোষাধ্যক্ষ ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. এ কে এম কবির আহমেদ রিয়াজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের গোলাম মাওলা শাহিন, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি বিলকিস জাহান চৌধুরী, অ্যামট্যাবের বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব, ফিজিওথেরাপিস্ট ডা. মাহাতাব উদ্দিন প্রমুখ।
আরও উপস্থিত ছিলেন ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, ডা. আদনান হাসান খান মাসুদ, ডা. সায়ীদ মেহবুব উল কাদির, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, যুবদলের ওমর ফারুক মুন্না, অ্যামট্যাবের দবির উদ্দিন তুষারসহ ড্যাবের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা।