বাংলাদেশ-লুক্সেমবার্গের মধ্যে সরাসরি আকাশপথে যুক্ত হতে ফ্লাইট চলাচল চুক্তির খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এর ফলে উভয় দেশেই ফ্লাইট চলাচল করতে পারবে। ইউরোপের অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ আরো ভালো হবে। এখন চুক্তি হলো। এরপর বাজার সম্প্রসারণ করার চিন্তাভাবনা করে তারা বাস্তবায়নে যাবে।’
এর পাশাপাশি বৈঠকে বাংলাদেশ বিমান (রহিত বাংলাদেশ বিমান অর্ডার ১৯৭২ পুনর্বহাল এবং সংশোধন) আইন ২০২২ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বরের আগে দেশ কিন্তু পিও অর্ডার বা প্রেসিডেন্ট অর্ডারে চলেছে। সে বছরের ৪ নভেম্বর যখন সংবিধান হলো, তখন থেকে পিও অর্ডারগুলো সংবিধানের আওতায় আইন হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে।
‘সুতরাং পিও অর্ডার সংবিধানের অংশ। তখন কেবিনেটে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হলো এগুলো বহাল রাখতে হবে। নইলে আমাদের সরকারের ইতিহাস থাকবে না। এরপর ১৯৭৭ সালে একটি কর্পোরেশন করে; ২০০৭ সালের ১১ জুলাই কোম্পানি করে দেয় বিমান।
‘এরপর একটি অধ্যাদেশ করে ২০১১ সালের ২৫ জুলাই আবার এটিকে কোস্পানি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আইনে বলেছে, ২০০৭ সালের ১১ জুলাই পরে আবার বলে ২৫ জুলাই... এটা নিয়ে একটা বিরোধ তৈরি হচ্ছে। এ জন্য তারা (বিমান মন্ত্রণালয়) একটি সংশোধন নিয়ে আসছে। সেটা হলো, ১৯৭২ সালের পিও অর্ডারে ফিরে যাবে। কিন্তু ২০০৭ সালে ১১ জুলাই থেকে যে কোম্পানি করা হলো সেটা বজায় থাকবে। এই ছোট সংশোধন নিয়ে আসছে বেসরকারি বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।’