ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় শ্মশানে যাওয়ার রাস্তার জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে অন্তত তিন ঘণ্টা পড়ে ছিল একটি মরদেহ।
উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের মোগড়া গ্রামে সোমবার সাকালে এ ঘটনা ঘটে। পরে সেই রাস্তা দিয়ে বের না হয়ে একটি ঘরের টিনের বেড়া খুলে মরদেহ নিয়ে শ্মশানে যান স্বজনরা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রোববার গভীর রাতে সুধীর পাল নামে এক ব্যক্তি বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। পরদিন সকাল ৮টার দিকে তার মরদেহ সৎকারের শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার পথেই বাঁধে বিপত্তি।
সুধীরের স্বজনরা জানান, রাস্তার জায়গা নিয়ে আলমগীর ও শামীম নামে দুই ব্যক্তির মধ্যে বিরোধ চলেছে। আর এ রাস্তাটি দিয়েই যেতে হয় শ্মশানে।
এ অবস্থায় সুধীরের মরদেহ নিয়ে রাস্তার ওপরই অন্তত ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করেন স্বজনরা। এই সময়ের মধ্যে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও ইউপি চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে শামীম তার টিনের বেড়া খুলে দিলে সুধীরের মরদেহ শশ্মানে নিয়ে যেতে সক্ষম হন স্বজনরা।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, রাস্তার জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে মোগড়া গ্রামের ২৫টি হিন্দু পরিবার বর্তমানে সমস্যায় রয়েছে।
এ বিষয়ে মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন, ‘শামীম ও আলমগীরের বিরোধ নিয়ে ইতোপূর্বে সালিশ হয়েছে। আমি সালিশের রায় দিয়েছি। আলমগীরের পক্ষ রায় মানেনি। অন্যদিকে, রায় অনুযায়ী শামীমকেও রাস্তার জায়গা ছাড়তে বলা হয়। কিন্তু তিনিও সেটা না করে জায়গা দখলে রেখেছেন।’
আখাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি মীমাংসার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।