বিভিন্ন অভিযোগে শরীয়তপুরের পালং ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অভিযান চালিয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) পারভেজ হাসান।
ওই সময় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুস সালাম মিয়াকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। পাশাপাশি তাকে জাজিরার নাওডোবা ইউনিয়নে বদলি করা হয়।
এ ছাড়া ভূমি অফিসের দালালচক্রের এক সদস্যকে আটকও করা হয়।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন শরীয়তপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা এসি (ল্যান্ড) মনিজা খাতুন।
ডিসি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, রোববার বেলা ১১টার দিকে পালং ইউনিয়ন ভূমি অফিস পরিদর্শনে যান ডিসি পারভেজ হাসান। ওই সময় আবেদন ফি অনলাইনের পরিবর্তে নগদে নেয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। অফিসের কম্পিউটার ব্যবহার করতে দেখা যায় দালালকে। ওই সময় দিদার হোসেন নামের ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
অভিযান চলাকালে দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত ভূমি অফিস বন্ধ ছিল। ওই সময় অনেক সেবাপ্রত্যাশীকে অফিসে এসে ফিরে যেতে দেখা যায়। দুপুর ২টার দিকে অফিস ফের চালু হয়।
আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের খলিলুর রহমান বলেন, ‘খাজনার দাখিলা কাটতে এসে দেখি অফিসে অভিযান চলছে। অফিসে তালা ঝুলিয়ে অফিসারদের নিয়ে যায় তারা।
‘আমার কিছু কাগজপত্র অফিসের ভেতরে রয়ে গেছে। কখন অফিস খুলবে, কখন কাজ শেষ করে বাড়ি যাব, বলতে পারছি না।’
এসি (ল্যান্ড) মনিজা খাতুন বলেন, ‘পালং ভূমি অফিসে কিছু অনিয়মের বিষয়ে জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে তথ্য ছিল। তিনি রোববার ওই অফিস পরিদর্শনে যান।
‘সেখানে কর্মরত কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিসি অফিসে নেয়া হয়। সে জন্য কিছু সময় ওই অফিসের কার্যক্রম বন্ধ ছিল।’
অভিযুক্ত আবদুস সালাম মিয়া বলেন, ‘ভূমি অফিসের ভেতরে বসে এক ব্যক্তি গ্রাহকদের কম্পিউটারে অনলাইনে বিভিন্ন আবেদন করতে সহায়তা করেন। এখানে আমার পদায়ন হওয়ার আগে থেকেই তিনি ওই কাজ করছেন। মানুষের উপকার হয় এমনটা ভেবে আমি তার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিইনি।’
ডিসি পারভেজ হাসান জানান, বিভিন্ন অনিয়মের সত্যতা পেয়ে সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে শোকজ ও বদলি করা হয়েছে। এ ঘটনার আরও তদন্ত হবে। প্রয়োজনে তাকে বরখাস্ত করার সুপারিশ করা হবে।
তিনি আরও জানান, যে ব্যক্তি সরকারি অফিসে বসে নিজের ব্যবসা করছিলেন, তার বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।