নওগাঁর রানীনগরের একটি স্কুলে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। এর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ এসব নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের মেরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রোববার সকালে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের নাম হাফিজুর রহমান।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাফিজুর রহমান বিভিন্ন কৌশলে বিভিন্ন সময় ছাত্রীদের শরীর স্পর্শ করেন। সম্প্রতি বেশ কিছু ছাত্রী আতঙ্কিত হয়ে নিজ নিজ অভিভাবকদের বিষয়টি জানায়। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তারা রোববার বেলা ১১টার দিকে স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে প্রায় চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন।
অবরোধকারীদের একজন বলেন, ‘আমার বড় ভাইয়ের মেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে এসে বলে হাফিজুর রহমান স্যার আমার শরীরে হাত দিয়েছে। আমি খুব ব্যথা পেয়েছি। স্যার ভালো না। এ রকম চরিত্রহীন শিক্ষকের কঠিন শাস্তি চাই। এমন শিক্ষকের দরকার নেই এই স্কুলে।’
আরেক অভিভাবক বলেন, ‘হাফিজুর মাস্টার চার দিন আগে স্কুলে আমার মেয়েকে জড়িয়ে ধরে। বাড়িতে এসে আমার বলে যে স্যার কেমন জানি করে, স্যার ভালো না। তাকে আটক করে শাস্তি দেয়া হোক। এমন জঘন্য মনের শিক্ষক থাকার দরকার নাই।’
অবরোধকারী অভিভাবক ও স্থানীয়রা ওই শিক্ষকের অব্যাহতির দাবি জানান।
তবে শিক্ষক হাফিজুর বলেন, ‘এই স্কুলে যারা পড়াশোনা করে সবাই আমার সন্তান সমতুল্য। এখানকার কিছু মানুষ সমাজে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে এই ধরনের পরিকল্পনা সাজিয়েছে। আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
এ বিষয়ে রাণীনগর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহোদয় ও থানা পুলিশের একটি টিম গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’