বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কুমিল্লায় সমাবেশ নিয়ে সাক্কু-কায়সারের রাজ্যের হতাশা

  •    
  • ২৭ নভেম্বর, ২০২২ ১৮:১২

গত ১৫ জুন দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেন এই দুই নেতা, যদিও বিএনপির সিদ্ধান্ত এমন যে বর্তমান সরকারের আমলেও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো ভোটে অংশ নেবে না তারা। শনিবারের সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণে আপ্রাণ চেষ্টা করেন তারা। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি।

দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বহিষ্কৃত হলেও শনিবারের সমাবেশ সফল করতে শ্রম কম দেননি মনিরুল হক সাক্কু ও নিজামউদ্দিন কায়সার। আশা ছিল, তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পাল্টাবে দল। কিন্তু সেটি হয়নি আর এতে হতাশ এই দুই নেতা ও তাদের হাজারো অনুসারী।

এই সমাবেশ ঘিরে দুই নেতা কয়েক সপ্তাহ ধরেই ছিলেন তৎপর। দিন-রাত এক করেছেন সমাবেশ সফল করতে। সমাবেশের দিন সমাবেশস্থলেও যান অনুসারীদের নিয়ে। তবু মন পেলেন না কেন্দ্রীয় নেতাদের।

কিন্তু যে আশায় এত চেষ্টা, সেই আশায় গুড়েবালি। তাদের নাম মুখেও আনেননি কেন্দ্রীয় নেতারা।

শনিবার কুমিল্লা টাউন হল ময়দানে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শুরু হয় সকাল ১০টায়। জমায়েতের পূর্ব পাশে নেতা-কর্মীদের নিয়ে অবস্থান নেন বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। মঞ্চের ঠিক ৩০ গজ সামনে অবস্থান নেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি ও আরেক বহিষ্কৃত নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার।

গত ১৫ জুন দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেন এই দুই নেতা, যদিও বিএনপির সিদ্ধান্ত এমন যে বর্তমান সরকারের আমলেও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো ভোটে অংশ নেবে না তারা।

দল কাউকে প্রতীক না দিলেও দুইজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে অংশ নেন ভোটে। সাক্কু ও কায়সারের মধ্যে ভোট ভাগাভাগির সুযোগে অল্প ভোটে জিতে যান নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত। সাক্কু তার চেয়ে ভোট কম পেয়েছেন ৩৪৩টি। অন্যদিকে কায়সার ভোট পান ২৯ হাজার ৯৯টি। অর্থাৎ একক প্রার্থী থাকলে সাক্কু বড় ব্যবধানে আবার জিততে পারতেন।

সেই ভোটের পাঁচ মাসেও বহিষ্কারাদেশ তোলেনি বিএনপি। এরই মধ্যে কুমিল্লায় ডাকা হয় সমাবেশ। সাক্কু সব সময় বলে থাকেন, বিএনপি তাকে দল থেকে বের করে দিলেও তিনি দলেই আছেন।

এই সমাবেশ নিয়ে তৎপরতা বর্ণনা করে নিউজবাংলাকে কুমিল্লার সাবেক মেয়র বলেন, ‘মাসব্যাপী প্রচারণা, লিফলেট বিতরণ, মিছিল করেছি। দূর থেকে আসা নেতা-কর্মীদের ৭৮টি ফ্ল্যাটে থাকার ব্যবস্থা করেছি। দলকে ভালোবাসি বলেই এত কিছু করি। দল আমাকে ছাড়লেও আমি দলকে ছাড়তে পারব না।’

সমর্থকরা আশা করছিলেন, সাক্কুকে মঞ্চে না টানলেও তার উপস্থিতি নজরে আনবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। কিন্তু তারা সাবেক মেয়র নিয়ে কিছু বলেননি, তাকে ডেকে কথাও বলেননি।

সাক্কু বলেন, ‘আমার সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের কথা হয়। তারা আমাকে বলেছেন দলের জন্য কাজ করতে। আমি কাজ করছি এবং ভবিষ্যতেও করব। তবে গতকাল সমাবেশে আমি আশা করেছিলাম তারা আমার নাম নেবে। এটা হয়নি। তবে আমার বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় নেতারা একদিন আমার কাজের মূল্যায়ন করে আমার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেবে।’

সেদিন মঞ্চের সামনে জাতীয় পতাকা নেড়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি কাড়ার চেষ্টা করেন নিজাম উদ্দিন কায়সার। তার অনুসারীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্লোগানও দিতে থাকেন। বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টায় একবারের জন্যও তারা কায়সারের নাম মুখে নেননি।

কায়সার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি বিএনপির রাজনীতি করি। নির্বাচনের জন্য আমাকে বহিষ্কার করেছে। কী পরিস্থিতিতে নির্বাচন করেছি সবাই জানে, দলকেও বিষয়টি জানিয়েছি। সমাবেশে গিয়েছি বিএনপির কর্মী হিসেবে।’

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লা বুলু, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জসিম উদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিন উর রশিদ ইয়াছিন।

এ বিভাগের আরো খবর