বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দ্বন্দ্ব মেটাতে কাদেরের সঙ্গে আলোচনা হবে: রওশন

  •    
  • ২৭ নভেম্বর, ২০২২ ১৬:২৯

পাঁচ মাস পর থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরলেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। বিমানবন্দরে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে যান জি এম কাদেরপন্থি হিসেবে পরিচিত নেতা এবং দলের কো-চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হাওলাদার ও শফিকুল ইসলাম সেন্টু।

দলের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব দূর করতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বলে জানিয়েছেন দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।

রোববার দুপুরে বিমানবন্দরে থাইল্যান্ডে চিকিৎসা শেষে পাঁচ মাস পরে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের এই কথা জানান রওশন এরশাদ। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটে জাতীয় পার্টি যাবে কি না, তা সময় বলে দেবে বলে মন্তব্য করেন রওশন এরশাদ।

রওশন এরশাদ দেশে ফিরলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি গেটে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন জি এম কাদেরপন্থি হিসেবে পরিচিত নেতা এবং দলের কো-চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হাওলাদার ও শফিকুল ইসলাম সেন্টু।

তবে দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ দলের সিনিয়র নেতাদের উপস্থিতি ছিল না।

রওশনপন্থি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙা এবং রওশন এরশাদের রাজনৈতিক উপদেষ্টা গোলাম মসীসহ অন্য নেতা-কর্মীরা।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নেমে ভিআইপি লাউঞ্জে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হন রওশন এরশাদ। এ সময় সাংবাদিকদের বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দেন রওশন এরশাদ।

জি এম কাদেরের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রওশন এরশাদ বলেন, ‘আমরা বৈঠক করব, আলোচনা করব।’জি এম কাদের কেন তাকে বিমানবন্দরে রিসিভ করতে আসেননি– এমন প্রশ্নের জবাবে রওশন বলেন, ‘অসুবিধা আছে, তাই আসেনি।’

আগামী জাতীয় নির্বাচন এককভাবে করবেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সেটা সময় বলে দিবে।’

এর আগে সাংবাদিকদের সামনে একটি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রওশন এরশাদ। এতে তিনি বলেন, ‘আমার সুস্থতা কামনায় দোয়া করার জন্য পার্টির নেতা-কর্মী এবং দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানাই।’

চিকিৎসার খোঁজখবর নেওয়ার জন্য রওশন এরশাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। বলেন, ‘ব্যাংককে আমার চিকিৎসার সময় সহযোগিতা এবং স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেয়ার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। আমি থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাসকেও ধন্যবাদ জানাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার সময় সহায়তা ও সহযোগিতার জন্য।’

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আগেও বলেছি, আজও বলছি, আমি সব সময়ই জাতীয় পার্টির ঐক্য চাই। পার্টিকে বিভক্ত করার প্রশ্নই ওঠে না।

‘আমি ঢাকায় ফিরে এসেছি, আমি পার্টির সব এমপি, প্রেসিডিয়াম এবং অন্যান্যদের সঙ্গে যেকোনো বিভ্রান্তি ও ভুল-বোঝাবুঝি দূর করতে বসব। আমি নিশ্চিত, সেই ভুল-বোঝাবুঝি দূর করে ঐক্যবদ্ধভাবে শিগগিরই রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ফিরতে পারব, ইনশা আল্লাহ।’

তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টির জন্য যারা কষ্ট করেছেন, জেল খেটেছেন এবং জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাদের সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’

এ সময় রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাদেরের দেওয়া প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফাকে দলের প্রার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেন রওশন এরশাদ।

তিনি বলেন, ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্নেহধন্য পুত্রতুল্য এবং তার পছন্দের যোগ্য ও দক্ষ প্রার্থীকেই আসন্ন রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে লাঙ্গলের মেয়র প্রার্থী ঘোষণা করছি। তিনি হলেন সাবেক মেয়র ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য, জনমানুষের প্রিয় নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা। তার নির্বাচন ও বিজয়ের মধ্য দিয়ে জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী দল হিসেবে নতুন করে প্রতিষ্ঠা পাবে, ইনশা আল্লাহ।’

তিনি বলেন, ‘রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বলতে চাই। মনে রাখবেন রংপুর জাতীয় পার্টির প্রাণ। এটা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বাড়ি। তাই আসনটি যেকোনো মূল্যে ধরে রাখতে হবে এবং জাতীয় পার্টির প্রতীক লাঙ্গল নিয়ে নির্বাচনে জয়ী হবে এমন যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেব, ইনশা আল্লাহ। এ জন্য সব নেতা-কর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা তার এই বক্তব্যে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন বজায় রাখতে সর্ববাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছেন। দুর্নীতি, অর্থনীতিতে অব্যবস্থাপনা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির মতো কিছু ত্রুটি রয়েছে। আমি নিশ্চিত যে, প্রধানমন্ত্রী এসব বিষয়ে অবগত আছেন এবং আমি তাকে অনুরোধ করব এই বিষয়গুলোকে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সমাধান করতে এবং তার মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের আরও বেশি আন্তরিক ও সক্রিয় করতে।’

রওশন এরশাদ বলেন, ‘বর্তমান ভূ-রাজনীতি বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধ গুরুতর অর্থনৈতিক সমস্যার সৃষ্টি করেছে। এর প্রভাব পড়েছে আমাদের দেশেও। তাই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের সবাইকে আরও সতর্ক হওয়া উচিত এবং সরকারকে সহযোগিতা করা উচিত।’

এ বিভাগের আরো খবর