যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে করা মামলার অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির তারিখ আট মাস পিছিয়ে আগামী বছরের ৩ আগস্ট ঠিক করেছে আদালত।
রোববার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফায়সাল আতিক বিন কাদেরের আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ঠিক ছিল।
এদিন সম্রাট আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেন। এরপর তার আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ পারভীন হিরা অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন।
আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য নতুন তারিখ দেন।
২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বাদী হয়ে রমনা থানায় অস্ত্র আইনে মামলাটি করেন র্যাব-১-এর ডিএডি আব্দুল খালেক। ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক অস্ত্র মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর আত্মগোপনে চলে যান যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা সম্রাট। ২০১৯ সালের ৭ অগাস্ট কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
সেদিন বিকেলে সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে কাকরাইলের ভূইয়া ট্রেড সেন্টারে তার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অভিযান শেষে গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল, ১১৬০টি ইয়াবা, ১৯ বোতল বিদেশি মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া এবং ‘নির্যাতন করার’ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পাওয়া যায়।
ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়ার কারণে সম্রাটকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে তাৎক্ষণিকভাবে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেদিনই তাকে পাঠিয়ে দেয়া হয় কেরানীগঞ্জের কারাগারে।
বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত রয়েছেন।