দীর্ঘ সাত বছর পর পিরোজপুরে শুরু হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন।
রোববার সকাল ১০টায় জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মাঠে শুরু হয় এই সম্মেলন।
দক্ষিণের উপকূলীয় এই জেলায় ২০১৫ সালে সর্বশেষ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়েছিল। তারপর গত অক্টোবর মাসে কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তে ও জেলা কমিটির বর্ধিত সভায় ঠিক করা হয় জেলা সম্মেলনের দিন তারিখ।
দীর্ঘ সাত বছর পর আজ (২৭ নভেম্বর) সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মাঠে শুরু হয় এই সম্মেলন।
সম্মেলন ঘিরে গোটা শহর ছেয়ে গেছে ব্যানার-ফেস্টুন ও বিলবোর্ডে। মোড়ে মোড়ে নির্মাণ করা হয়েছে বেশ কটি তোরণ। এর আগে ইউনিয়ন থেকে উপজেলা পর্যায়ে নতুন সম্মেলন করেছেন জেলা কমিটির নেতারা।
জেলা সম্মেলন সফল করতে প্রস্তুতির ঘাটতি রাখছেন না নেতা-কর্মীরা। পদ পেতে চলছে জোর লবিংও। জেলা কমিটির দায়িত্ব নিতে প্রবীণদের পাশাপাশি নবীনদেরও রয়েছে ব্যাপক আগ্রহ।
কমিটিতে পরীক্ষিত ও ত্যাগী সাবেক ছাত্রনেতাদের মূল্যায়ন করার দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ ফিরোজ বলেন, পিরোজপুরে দীর্ঘ দিন পরে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হচ্ছে। আমাদের নেতা-কর্মীরা সবাই উৎসাহিত এবং পুরো শহরজুড়ে উৎসব বয়ে চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে আমাদের দাবি থাকবে এই সম্মেলনের মাধ্যমে প্রবীণদের পাশাপাশি নবীনদেরও জেলার গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হোক।'
ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেন, ‘পিরোজপুরের এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতা-কর্মীরা সব প্রস্তুতি নিয়েছেন বেশ কয়েক মাস ধরে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অনেক নেতা সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। আশা করা যাচ্ছে, বরিশাল বিভাগের মধ্যে অন্যতম একটি সুন্দর সম্মেলন হবে পিরোজপুরে।’
সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান মালেক বলেন, ‘আপনারা জানেন, জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মাঠে এবারের সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার রাতের মধ্যে সম্মেলন প্রস্তুতির সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। আমরা জেলার নেতারা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি সুন্দর একটি সম্মেলন উপহার দেওয়ার জন্য।
এদিকে, পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল বলেন, ‘সম্মেলনে অতিথি ও কাউন্সিলর নির্বাচন, মঞ্চ প্রস্তুতসহ সকল প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে, এখন শুধু কিছু সময়ের অপেক্ষা। আমাদের সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আমির হোসেন আমু। বিশেষ অতিথি থাকবেন পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।