বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি: আলামত চেয়ে মালয়েশিয়াকে দুদকের অনুরোধ

  •    
  • ২৬ নভেম্বর, ২০২২ ২১:৪৪

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান নিউজবাংলাকে জানান, বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদন হলফনামা করা হয়েছে। সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

বেসিক ব্যাংকের দুই হাজার ৭৭ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় আলামত চেয়ে মালয়েশিয়াকে অনুরোধ জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পারস্পরিক আইনি সহায়তা চুক্তির (এমএলএআর) আওতায় এই অনুরোধ জানানো হয়েছে।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শনিবার নিউজবাংলাকে জানান, বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদন হলফনামা করা হয়েছে। সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

বেসিক ব্যাংক দুর্নীতির মামলায় মোহম্মদ আলীর জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য রয়েছে।

এ ঘটনায় দায়ের করা ৫৬ মামলার মধ্যে ১২ মামলার আসামি ব্যাংকটির সাবেক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীর জামিন শুনানিতে ৮ নভেম্বর হালনাগাদ তথ্য চেয়েছিল হাইকোর্ট। সে অনুসারে এই প্রতিবেদন দাখিল করা হচ্ছে।

মামলায় আত্মসাৎ করা অর্থের বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, বেসিক ব্যাংক লিমিটেডের বিভিন্ন শাখা থেকে প্রায় দুই হাজার ৭৭ কোটি ৩৪ লাখ দুই হাজার ৯৯১ টাকা, যা সুদসহ দুই হাজার ৫৯০ কোটি ৪৯ লাখ ৯১ হাজার চারশ’ ৫৩ টাকা আত্মসাতের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রাথমিক অনুসন্ধান করে মোট ৫৬টি মামলা করেছে।

মামলাগুলো দীর্ঘদিন ধরে তদন্তাধীন। তদন্ত দীর্ঘায়িত হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো- আত্মসাৎকৃত অর্থ সম্পূর্ণরূপে নগদে উত্তোলনের মাধ্যমে টাকার অবস্থান গোপন করা হয়েছে। মামলায় গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের শনাক্তকরণ ও তাদের জবানবন্দি গ্রহণ (১৬১ ধারায়) কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। সব সাক্ষীর কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। বর্ণিত মামলায় আলামত প্রচুর এবং ব্যাংকের বিশাল পরিমাণ কাগজপত্র থেকে প্রকৃত সব আলামত শনাক্ত করা সময়সাধ্য। প্রকৃত আসামিদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়াটিও এই মামলায় বেশ জটিল।

এছাড়া মামলার প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহের জন্য মালয়েশিয়ায় এমএলএআর করা হয়েছে। সে সংক্রান্ত প্রতিবেদন ও আলামত এখনও পাওয়া যায়নি।

মামলাগুলোর আগের তদন্ত কর্মকর্তারা বদলি হয়ে যাওয়ায় একাধিকবার তদন্তকারী কর্মকর্তাও পরিবর্তন করা হয়েছে। মামলাগুলোর তদন্তকাজ এগিয়ে চলছে। আসামি ও আলামত শনাক্ত করা, সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ করা ও এমএলএআর-এর পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশ থেকে মামলার প্রয়োজনীয় আলামত পাওয়া সাপেক্ষে এবং প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে যথাসম্ভব দ্রুততম সময়ের মধ্যে সব মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

৫৬ মামলায় আত্মসাৎকৃত অর্থের মধ্যে ইতোমধ্যে ১১৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা উদ্ধার/ব্যাংকে জমা করা হয়েছে।

এ মামলায় ৮২ জন ঋণগ্রহীতা ছাড়াও বেসিক ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী ফকরুল ইসলাম, ডিএমডি ফজলুস সোবহান, সাবেক ডিএমডি শেখ মঞ্জুর মোরশেদ, জিএম এ. মোনায়েম খান, জিএম মোহাম্মদ আলী ওরফে মোহাম্মদ আলী চৌধুরীসহ ব্যাংকের ২৭ জন কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে।

বেসিক ব্যাংকের গুলশান শাখা, প্রিন্সিপাল/প্রধান শাখা, দিলকুশা শাখা এবং শান্তিনগর শাখাসহ মোট চারটি শাখার ঋণ কেলেঙ্কারির বিষয়ে গুলশান থানায় ২৩টি, মতিঝিল থানায় ১২টি ও পল্টন থানায় ২১টিসহ মোট ৫৬টি মামলা করা হয়। মামলার আসামিদের মধ্যে বেসিক ব্যাংক কর্মকর্তা ২৭ জন, ব্যবসায়ী ৮২ জন, বেসরকারি সার্ভেয়ার ১১ জনসহ মোট ১২০ জনকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর