বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হঠাৎ আলোচনায় এসেই অগোচরে সোহেল তাজ

  •    
  • ২৬ নভেম্বর, ২০২২ ১৬:০৫

গত ছয়-সাত মাসে কয়েক দফায় আলোচনায় এসে আবারও অগোচরে চলে গেছেন সোহেল তাজ। আওয়ামী লীগের একসময়কার এই প্রতিমন্ত্রীর কর্মকাণ্ডকে অপরিণত আচরণ বলে মন্তব্য করেছেন দলের কেউ কেউ।

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ মাঝেমধ্যেই হঠাৎ করে আলোচনায় আসেন। কোনো রাজনৈতিক ইস্যু বা রাষ্ট্রীয় অথবা কোনো জাতীয় ইস্যুকে কেন্দ্র করে নয়, বরং নিজ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি তার অস্তিত্বের জানান দেন। আবার দুই-এক দিন পরেই তার আলোচনা স্তিমিত হয়ে যায়, যদিও তিনি ফেসবুকে বরাবর সক্রিয়।

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজ সর্বশেষ আলোচনায় আসেন ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসকে ‘জাতীয় শোক দিবস’ ঘোষণার দাবি নিয়ে। গত ৩১ অক্টোবর জেলহত্যা দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ তিন দফা দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে একটি স্মারকলিপি দেন তিনি। তার অন্য দাবি দুটি হলো ১০ এপ্রিলকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা এবং জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক-সামরিক সংগঠক, শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনী ও অবদান পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা।

এর আগে গত ২২ এপ্রিল এসব দাবিতে গণভবন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দিয়েছিলেন সোহেল তাজ। সেদিনের কর্মসূচিতে তার বোন মাহজাবীন আহমেদ ও আইনজীবী তুরিন আফরোজসহ দেড় শতাধিক মানুষ অংশ নেন। গণভবনের ফটক পর্যন্ত হেঁটে যান তারা। সেখানে পৌঁছে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার কাছে দাবিগুলো সংবলিত একটি স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন তারা।

৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসে বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকরা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সোহেল তাজের জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় দিবস করার দাবি-সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় দিবস করার ব্যাপারটি সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের বিষয়।

এ ছাড়া আগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সোহেল তাজের ছোট বোন মাহজাবীন আহমেদ মিমির একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে আলোচনায় আসেন তোহেল তাজ। ১১ আগস্ট ফেসবুক প্রোফাইলে মাহজাবীন লেখেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আসন্ন কাউন্সিল অধিবেশনে তানজিম আহমেদ (সোহেল তাজ) দলীয় নেতৃত্বে আসছেন ইনশাআল্লাহ। জয় বাংলা! জয় বঙ্গবন্ধু! জয়তু শেখ হাসিনা!! বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’

তার স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে একটি গণমাধ্যমে রিপোর্ট হয় যে, আওয়ামী লীগের আসন্ন সম্মেলনে বড় পদ পেতে পারেন সোহেল তাজ। কিন্তু তারপর আবার বন্ধ হয়ে যায় এই আলোচনা।

এর কয়েকদিন পর শতাধিক সমর্থক নিয়ে ২৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে যান সোহেল তাজ। সেদিন সাংবাদিকরা তার দলীয় কার্যালয়ে আসার কারণ জানতে চাইলে সোহেল তাজ বলেন, ‘মাঝখানে কিছুদিন ব্যক্তিগত কাজে ছিলাম। এখন পার্টি অফিসে আসছি, নিয়মিত আসার চেষ্টা করব।’

কিন্তু এরপর তিনি আর দলীয় কার্যালয়ে যাননি। দলের কোনো কর্মসূচিতেও তাকে দেখা যায়নি।

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এখন পর্যন্ত দলীয় কোনো কার্যক্রম বা কর্মসূচিতে তাকে দেখা যায়নি।

বাবা প্রয়াত তাজউদ্দীন আহমদের জন্মবার্ষিকীতে আওয়ামী লীগ কোনো কর্মসূচি না দেয়ার তার সমালোচনা করে নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট দেন সোহেল। তার পোস্টে সাড়া দিয়ে পরে আওয়ামী লীগ ফেসবুক পেজে তাজউদ্দীন আহমদের জন্মবার্ষিকী নিয়ে একাধিক পোস্ট দেয়।

এসব বিষয় নিয়ে আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল নেতার কাছে বক্তব্য চাইলে কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

দলটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আনোয়ার হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এগুলো সবই সোহেল তাজের আলোচনায় থাকার জন্য স্টান্টবাজি। ভালো কোনো কাজ করে এখনও তিনি আলোচনায় আসেননি, যেসব ইস্যুতে গণমাধ্যমে তার সম্পর্কে লেখা হয়েছে সবগুলোই তার নিজের তৈরি একধরনের অপরিণত আচরণ।’

এ বিভাগের আরো খবর