আজীবনের জন্য বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক ওরফে সাক্কু দলের বিভাগীয় সমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন।
শনিবার দুপুরে জেলার টাউন হল মাঠে শুরু হওয়া এই সমাবেশে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে করে তিনি সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন।
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সারও এতে উপস্থিত হয়েছেন। গত সিটি নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করায় দলীয় পদ হারান এ দুই নেতা।
সমাবেশের মাঠে মনিরুল হক সাক্কু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দল আমাকে বহিষ্কার করলেও আমি দল ছাড়ব না। ৪৪ বছর ধরে বিএনপি করছি। আমি সমাবেশ শুরু হওয়ার বহু আগে থেকে প্রচারণা চালিয়েছি। হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে চার দিন ধরে খাওয়াইতাছি।’
তিনি বলেন, ‘সমাবেশ উপলক্ষে আমি সকাল ৯টায় সমাবেশে এসেছি।’
সমাবেশে রফিকুল ইসলাম মঞ্চে নেতা-কর্মীদের নিয়ে তিনি অবস্থান করছেন। আর নিজাম উদ্দিন মঞ্চের কিছুটা দূরে নেতা-কর্মীদের নিয়ে হাজির হয়েছেন।
কায়সার বলেন, ‘আমি বিএনপি করি। কী পরিস্থিতিতে নির্বাচন করেছি, সবাই জানে। আজ সমাবেশস্থলে এসেছি।’
গত ১৫ জুন অনুষ্ঠিত হয় কুমল্লিা সিটির তৃতীয়বারের নির্বাচন। ২০১২ সালের প্রথম নির্বাচনে ৩৫ হাজার ভোটে, ২০১৭ সালের দ্বিতীয় নির্বাচনে ১১ হাজার ভোটে জয় পাওয়া সাক্কু এই নির্বাচনে হারেন ৩৪৩ ভোটে।
সাক্কুর এই পরাজয়ের পেছনে দৃশ্যত দায়ী স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিজামউদ্দিন কায়সার, যিনি ভোটে লড়তে দলীয় পদ ছাড়েন।
ওই নির্বাচনের আগেই ১৯ মে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে আজীবনের জন্য বিএনপি থেকে বহিষ্কার করার কথা জানানো হয় সাক্কুকে। তিনি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন।
বিএনপি থেকে অব্যাহতি নিয়ে ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে মেয়র হন সাক্কু। পরে ২০১৭ সালের নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন নিয়ে আবার মেয়র হন তিনি।
২০১৭ সালের নির্বাচনে মেয়র হয়ে শপথ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পা ছুঁয়ে সালাম করে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেন সাক্কু। পরে তিনি দলীয় কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন।