কুমিল্লায় বিএনপির সমাবেশ শুরুর আগে হাজির হওয়া নেতা-কর্মীদের ভিড়ের মধ্যে শতাধিক মোবাইল ফোন চুরি হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন।
সকাল সাড়ে ১০টায় টাউন হল মাঠে মিছিল নিয়ে আসতে দেখা গেছে হাজারো নেতা-কর্মীকে।
চান্দিনা থেকে আসা বিএনপির কর্মী সালেক মিয়া বলেন, ‘আমি টাউন হলে এসে স্লোগান দিচ্ছিলাম। ছবি তোলার জন্য পকেটে হাত দিই। দেখি আমার মোবাইলটা নেই।’
সালেক দুঃখ করে বলেন, ‘আমার ছোট ভাই দুবাই থেকে পাঠিয়েছিল ফোনটি। মনটা খারাপ হয়ে গেল।’
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মামুনের মোবাইল চুরি হয়ে গেছে।
বিএনপির কর্মী আবুল কালাম বলেন, ‘আমার মোবাইলটা খুব দামি না। আমি যখন হাততালি দিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলাম তখনই কে যেন পকেটে হাত দিল। এক সেকেন্ডের মধ্যেই পকেটে হাত দিয়া দেখি মোবাইলডা গায়েব।’
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা থেকে আসা মো. আশিক বলেন, ‘আমি মঞ্চের সামনেই ছিলাম। হঠাৎ করে দেখি আমার মোবাইলটা নাই। আমার এক হাতে পতাকা আরেক হাতে ফেস্টুন ছিল। এ সুযোগে চোরের দল আমার মোবাইলটা নিয়ে যায়।
‘দলীয় সংগীত গাইতেছিলাম, গেয়ে যখন পকেটে হাত দিই দেখি মোডাইলডা নাই। খুব খারাপ লাগতাছে। আমি লাকসাম থেকে আসছিলাম বিষুদবার (বৃহস্পতিবার) রাইতে। নেতারার লগে বহুত ছবি আছিলো। মোবাইলডা গেছে কষ্ট নাই। কষ্ট কইরা ছবিডি তুলছিলাম এগুলো কই পাই?’
এ রকম শতাধিক মোবাইল খোয়া গেছে সমাবেশ শুরুর আগেই।
জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহ আলম বলেন, গতকাল রাত থেকেই মোবাইল চুরির ঘটনা শুরু হয়। আজ সমাবেশ শুরুর আগেই এমন অবস্থা।
এর আগে সমাবেশের আগের রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার মোবাইল ফোনসেট চুরি হয়ে গেছে।
শুক্রবার রাত ৯টায় কুমিল্লা বিভাগীয় সমাবেশস্থল টাউন হল মাঠে যাওয়ার পর কোনো একসময় তার ব্যাগ থেকে মোবাইল ফোনটি চুরি যায়।
বিষয়টি নিয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ওসি সনজুর মোর্শেদ শাহিন বলেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করে নাই।
এদিকে বেলা ১১টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, পবিত্র গীতা ও ত্রিপিটক থেকে পাঠ করে বিএনপির সমাবেশ শুরু হয়।