বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বেলুনে হাইড্রোজেন গ্যাস, ঝুঁকিতে শিশুরা

  •    
  • ২৫ নভেম্বর, ২০২২ ১৯:৫৪

পরিবেশবিদ প্রফেসার ড. শেখ আবুল হোসেন হানিফ বলেন, ‘এই বেলুনে শুধু শিশু নয়, বড়দেরও স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। বেলুনের কারখানায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অনেক হতাহতের ঘটনাও আমরা দেখেছি।’

নরসিংদীর গ্রামে গ্রামে ফেরি করে বিক্রি হচ্ছে শিশুদের চিত্তাকর্ষক বেলুন। নানা রঙের ডলফিন, মোটু-পাতলু, মোরগ, প্রজাপতিসহ বিভিন্ন প্রাণীর আকৃতির এসব বেলুনে ঢোকানো হয় মূলত হাইড্রোজেন গ্যাস। বিপজ্জনক এই গ্যাসের ঝুঁকিতে শিশুরা।

এ ছাড়া অভিযোগ আছে বেলুন তৈরির কারখানায় সিলিন্ডারের গ্যাসের সাথে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এসব বেলুন।

নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী শহরের প্রধান সড়ক দিয়ে পাঁয়ে হেটে মোকামে যাচ্ছিলেন বেলুন বিক্রেতা মজিবুর রহমানসহ তার আরও দুই কর্মচারী।

মজিবুর রহমান জানান, তার বাড়ি নেত্রকোনা জেলায় পূর্বধলা থানার বেগুনিয়া গ্রামে। মাধবদীর নওয়াপাড়ায় ভাড়া করা বাসায় থাকেন। সেখানে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বেলুন ফোলানো হয়। এসব বেলুন বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে শিশুদের খেলনা হিসেবে বিক্রি করা হয়। দাম ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেলুন বিক্রেতা এক যুবক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সিলিন্ডার গ্যাসের সাথে সাদা রঙের কেমিক্যাল দিয়ে বেলুনগুলো তৈরি করা হয়। এ কারণে বেলুন ফেটে গেলে কিছুটা গন্ধ হয়। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই এ গন্ধ বাতাসে মিলিয়ে যায়।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশবিদ প্রফেসার ড. শেখ আবুল হোসেন হানিফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেলুনে বিষাক্ত গ্যাসের কেমিক্যাল বাতাসে উড়ে পরিবেশের ক্ষতি করছে। এই বেলুনে শুধু শিশু নয়, বড়দেরও স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। বেলুনের কারখানায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অনেক হতাহতের ঘটনাও আমরা দেখেছি।’

এ সময় বেলুন কারখানাগুলোর কার্যক্রম নাজরদারি করারও আহ্বান জানান তিনি।

ডা. মিনহাজ উদ্দিন আহমেদ চয়ন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শিশুরা সব ধরনের খেলনা সামগ্রীতে আসক্ত থাকে। এ ছাড়া অভিভাবকরা এই বেলুন খেলনা হিসেবে কিনে দেন।’

তা শিশুর জন্য কতটা নিরাপদ তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অব্যশই ক্ষতিকারক ও বিপদজ্জনক এ বেলুন। তবে বেলুন বিস্ফোরণ হলে হাইড্রোজেন গ্যাস আকাশে উড়ে যায়। বিশেষ করে যেসব গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে বেলুন ফোলানো হয়, তা মেয়াদোত্তীর্ণ হলে বিস্ফোরিত হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে।’

নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডা. মো. নুরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হিলিয়াম জাতীয় গন্ধহীন এবং স্বাদহীন নিষ্ক্রিয় গ্যাস দিয়ে বেলুন ফোলানো হওয়ার কথা। কিন্ত গ্রামের বেলুন বিক্রেতারা হিলিয়াম গ্যাসের ব্যবহার না করে হাইড্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করছেন।’ গ্যাসের বেলুনগুলো শিশুদের নাগালে বাইরে রাখতে অভিভাবকদের বিশেষভাবে আহবান জানান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর