বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছেন বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। জাতীয় সরকারের চিন্তাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন তিনি।
তারেক রহমানের ৫৮ তম জন্মদিন উপলক্ষে শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘দেশনায়ক তারেক রহমান এর ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ বিষয়ে এক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। জিয়া পরিষদ নামে একটি সংগঠক ছিল এর আয়োজক।
আমির খসরু বলেন, ‘তারেক রহমানের আগামী দিনের ভাবনার মূল লক্ষ্য হলো, তাহার বাবা জিয়াউর রহমানের আদর্শ এবং তার মা খালেদা জিয়ার আদর্শ ধারণ করে বাংলাদেশকে নতুন করে গঠন করা।
‘করোনা পরিস্থিতি এবং রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্ব পরিস্থিতি যেমন উলটপালট হয়ে গেছে, তেমনি করে রাজনীতিতেও পরিবর্তন ঘটিয়ে দেশকে নতুন করে গঠন করার ভাবনা তারেক রহমানের মাথায় রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে গর্তের মধ্যে ফেলে দিয়েছেন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘সেটাকে শুধু চেঞ্জ না, সব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে তারেক রহমান রূপান্তর করতে চান। ইতিমধ্যে জাতীয় সরকারের ঘোষণা দিয়েছেন, রাষ্ট্রের জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।’
আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশকে কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত না করার সতর্কতাও দেন বিএনপি নেতা। বলেন, ‘বিএনপি বাংলাদেষে যে সমাবেশগুলো করেছে, এগুলো তাদের সাংবিধানিক অধিকার। সুতরাং ঢাকা শহরে ১০ তারিখে সমাবেশ হবেই হবে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ হচ্ছে আমার সাংবিধানিক অধিকারকে সুরক্ষা দেয়া। তারা বিএনপি এবং দেশের জনগণকে সুরক্ষা দেবে।’
বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে বিদেশিদের কাছে নালিশ করে বলে যে অভিযোগ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তারও জবাব দেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা। বলেন, ‘বিদেশিরা তাদের অফিস বানিয়ে কূটনীতিকদের বসিয়ে রেখেছে। তাদের কোনো দায়িত্ব নাই? এদেশে কী হয়, সরকার কী করে, এগুলা যার যার দেশের সরকারকে জানানোটাই তাদের দায়িত্ব। এই জিনিসটা সরকারের মাথায় আছে বলে আমি মনে করি না।’
আলোচনায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘তারেক রহমান এমনই একজন নেতা যিনি মাঠপর্যায় থেকে রাজনীতি করে এ পর্যায়ে এসেছেন। তিনি হাজার হাজার মাইল দূর থেকে একটি রাজনৈতিক দলকে নেতৃত্ব দিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের মণিকোঠায় পৌঁছে গেছেন, যার নাম শুনে আওয়ামী লীগ নেতাদের মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায়।’
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে সরকারের বাঁচার একটি পথই রয়েছে। সেটি হলো তাদেরকে পদত্যাগ করতে হবে। নইলে আন্দোলন সংগ্রামে দেশের যত ক্ষতি হবে, তার দায় এই সরকারকেই নিতে হবে।’