বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপির এবার টানেলের জ্বালা: কাদের

  •    
  • ২৫ নভেম্বর, ২০২২ ১৭:০১

‘বিএনপির ফখরুলদের গা জ্বলে, অন্তর জ্বলে, জ্বালা রে জ্বালা। শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করেই ফেলল! এ জ্বালা বাড়ছে। কর্ণফুলী টানেল, বঙ্গবন্ধু টানেলের দক্ষিণ টিউব আমাদের নেত্রী উদ্বোধন করবেন। খুব শিগগিরই আসছে তরুণ প্রজন্মের ড্রিম প্রজেক্ট মেট্রোরেল। কত জ্বালা, বুকে বড় জ্বালা।’

সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে বিএনপি চোখে অন্ধকার দেখছে বলে মনে করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দাবি করেছেন, ঈর্ষা থেকে তাদের গায়ে জ্বালাও ধরছে। এবারের জ্বালার নাম টানেল।

চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন কর্ণফুলী টানেলের একাংশের উদ্বোধনের আগের দিন শুক্রবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সরকার সমর্থক চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ বা স্বাচিপের পঞ্চম জাতীয় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হয়ে যান ক্ষমতাসীন দলের নেতা।

কাদের বলেন, ‘বিএনপির ফখরুলদের গা জ্বলে, অন্তর জ্বলে, জ্বালা রে জ্বালা। শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করেই ফেলল! এ জ্বালা বাড়ছে।

‘কর্ণফুলী টানেল, বঙ্গবন্ধু টানেলের দক্ষিণ টিউব আমাদের নেত্রী উদ্বোধন করবেন। খুব শিগগিরই আসছে তরুণ প্রজন্মের ড্রিম প্রজেক্ট মেট্রোরেল। কত জ্বালা, বুকে বড় জ্বালা।’

উন্নয়নের দিনের আলোতে বিএনপি রাতের অন্ধকার দেখে বলেও মন্তব্য করেন কাদের। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘বন্ধু গো, আর বলিতে পারি না, বড় ব্যথা, বড় বিষজ্বালা এই বুকে, দেখিয়া শুনিয়া ক্ষ্যাপিয়া গিয়াছি, তাই যাহা আসে ওই মুখে।’

বর্তমান সরকার যে মেগাপ্রকল্পগুলো হাতে নিয়েছে, তার মধ্যে চট্টগ্রামে দেশের প্রথম টানেলের দক্ষিণ টিউবের পূর্তকাজ শেষ হয়েছে। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে সে কাজ সমাপ্ত ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে উত্তর টিউবের কাজ শেষ হতে হতে জানুয়ারি লেগে যাবে। তখন টানেলে গাড়ি চলাচল শুরু হবে।

এই টানেলে যান চলাচল শুরু হলে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার কমে যাবে। তখন ৫ মিনিটেই চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে যাওয়া যাবে আনোয়ারায়।

বিএনপি নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘হাসিনা’ উল্লেখ করে বক্তব্য রাখায়ও ক্ষেপেছেন আওয়ামী লীগ নেতা। বলেন, “এত বিষোদগার কেন করে বোঝেন না? এত মিথ্যাচার কেন করে বোঝেন না? শেখ হাসিনাকে ‘হাসিনা’ ‘হাসিনা’ বলে কেন বোঝেন না? শালীনতা, শিষ্টাচারও এদের নেতা তারেক এবং ফখরুলরা হারিয়ে ফেলেছেন।”

আন্দোলন নির্বাচনে বিএনপিরই পতন

বিএনপি যে আন্দোলনের কথা বলছে, তাতে তাদেরই পতন হবে বলেও মন্তব্য করেন কাদের। বলেন, নির্বাচনেও তারা জিততে পারবে না।

আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘নেতিবাচক রাজনীতি, সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্ঠপোষকতা, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য আপনাদের আন্দোলনেও পতন হবে, নির্বাচনেও পতন হবে। খেলা হবে। খেলা তো হবে।’

শেখ হাসিনা কেবল পরের নির্বাচন নয়, পরের প্রজন্ম নিয়ে ভাবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।চিকিৎসকদের এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। তাকে স্বাগত জানিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থক চিকিৎসকরা দলে দলে যোগ দিয়েছেন এতে। ফলে সম্মেলনস্থল লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।

আওয়ামী লীগ ও তার অনুসারীরা জমায়েত ডাকলেও বিপুল লোক সমাগম হয় জানিয়ে একে শক্তিপ্রদর্শন মানতে চান না কাদের। বলেন, ‘একটা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সাংবিধানিক কর্মকর্তা বলেছেন, শক্তিপ্রদর্শন। সম্মেলন করতে গেলে এটা শক্তিপ্রদর্শন কেন হবে?

‘আওয়ামী লীগের সম্মেলন মানে হাজার হাজার, লাখো মানুষের সমাবেশ। আমরা পাল্টাপাল্টিতে নেই। আমরা কারও সঙ্গে মারামারিতে নেই। কিন্তু মনে রাখবেন, ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। বঙ্গবন্ধুকন্যা আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করেন না। খেলা হবে। ডিসেম্বরে খেলা হবে। আগামী নির্বাচনেও হবে।’এর আগে বেলুন উড়িয়ে স্বাচিপের পঞ্চম সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সঙ্গে ছিলেন সংগঠনের সভাপতি ইকবাল আর্সলান এবং মহাসচিব এম এ আজিজ।

৭ বছর আগে ২০১৫ সালের ১৩ নভেম্বর সবশেষ সম্মেলনটি হয় ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। তাতে ইকবাল আর্সলানকে সভাপতি ও এম এ আজিজ মহাসচিব নির্বাচিত হন।

এ বিভাগের আরো খবর