সাতক্ষীরার নিখোঁজ হোমিও চিকিৎসক মোখলেসুর রহমান জনি ও যশোরের বেনাপোলের কলেজছাত্র রেজোয়ান হোসেন গুম হয়েছেন দাবি করে তাদের ফেরত পেতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা।
‘নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক দিবস’ উপলক্ষে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খুলনায় আয়োজিত মানববন্ধন ও শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে সরকারের প্রতি এ দাবি জানান তারা।
মহানগরীর খানজাহান আলী রোডের জাতিসংঘ পার্কের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়।
গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ ও মানবাধিকারকর্মীদের সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার নেটওয়ার্ক’ যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
মানববন্ধনে যশোরের বেনাপোলের কলেজছাত্র রেজোয়ান হোসেনের মা সেলিনা বেগম বলেন, ‘আমার ছোট ছেলে মো. রেজোয়ান হোসেনকে ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট গুম করা হয়। এ ঘটনায় ভয়ে মামলা করার সাহস পাইনি। ৬ বছরেও সন্তানের সন্ধান না পেয়ে আমরা (মা-বাবা) অসুস্থ হয়ে পড়েছি।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, ‘সব সময় দুশ্চিন্তা ও ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়। কেন আমার ছেলেকে গুম করা হলো?’
অবিলম্বে সন্তানকে ফেরত চেয়েছেন সেলিনা বেগম।
সাতক্ষীরার হোমিও চিকিৎসক মোখলেসুর রহমান জনির বাবা আবদুর রাশেদ এবং বোন রাহিমা সুলতানা নিশি কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট জনিকে গুম করা হয়। প্রায় ৭ বছরেও তার সন্ধান দিতে পারেনি পুলিশ। তাকে হারিয়ে সংসার তছনছ হয়ে গেছে। জনির মা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
দুজনই জনিকে ফিরিয়ে দিতে সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিক মুহাম্মদ নূরুজ্জামান দিবসের বিবৃতি পাঠ ও সভাপতিত্ব করেন।
কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নারী নেত্রী রেহানা ঈসা, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা খুলনার জেলা সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা শাখার আহ্বায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, নিরাপদ সড়ক চাইয়ের জেলা সভাপতি এস এম ইকবাল হোসেন বিপ্লব, মানবাধিকারকর্মী শেখ আবদুল হালিম, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ছায়াবৃক্ষের প্রধান নির্বাহী মাহবুব আলম বাদশা ও নারী নেত্রী ইসমত আরা কাকন।
স্বাগত বক্তব্য দেন হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার ও সাংবাদিক কে এম জিয়াউস সাদাত।
১৯৬০ সালের আজকের দিনে ডোমিনিকান রিপাবলিকে সহিংসতায় তিন নারীর মৃত্যু হয়। তাদের স্মরণ করে ১৯৮১ সালে ২৫ নভেম্বরকে নারী নির্যাতনবিরোধী দিবস ঘোষণা করা হয়।